কিছুতেই থামছেনা গাইবান্ধা পাসপোর্ট ও বিআরটিএ এর দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য। সরকারি আদেশ অমান্য করে অতিরিক্তি টাকা নেওয়ার অভিযোগে গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে দালাল চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছিলেন দুদক। পাসপোর্ট কার্যালয়ে দালালের দৌরাত্ব ও সেবা পেতে মানুষের ভোগান্তিসহ নানা অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণও মিলেছে বলে জানান দুদকের দলটি। তবে গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরবেশ আলীর দাবি, তার অফিসের কেউ দালালচক্রের সঙ্গে জড়িত নয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জেলা সমন্বিত রংপুর বিভাগের দুদকের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরিফের নেতৃত্বে ৬ সদস্যদের একটি টিম পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালায়। এ সময় টিমের সদস্যগণ ছদ্মবেশে গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আগত সেবাগ্রহীতাদের সাথে কথা বলে হয়রানি ও ঘুষের অভিযোগের সত্যতা পায় দলটি।
জেলা সমন্বিত রংপুর বিভাগীয় দুদকের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরিফ জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে অনেক অভিযোগের সত্যতা পাওয় যায়। অনুসন্ধানে অফিসের আশপাশে গড়ে ওঠা দোকানগুলো থেকে দালাল চক্র নিয়ন্ত্রণের প্রমাণ মিলেছে। এ সময় দালাল চক্রের তিনসদস্যকে অতিরিক্ত টাকাসহ হাতে নাতে আটক করা হয়। এরা হলেন, সোহেল মিয়া (৩৫), কাঞ্চন মিয়া (৩০) ও রুবেল মিয়া (২৯)। তাদের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলায়।
আরো পড়ুন:গাইবান্ধায় হ্যান্ডবল লীগের উদ্বোধন
পরে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের কাযার্লয়ের এক্সিকিউটিব ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা রাজিয়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় তিনি দালাল চক্রের তিন সদস্যকে সরকারি আদেশ অমান্য করার অপরাধে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এর পরেও যেন থামছেনা দালালদের দৌড়াত্ব প্রাইয় দেখা যায় অফিসের আসপাশের দালাল”রা উৎপেতে থেকে দালালী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।যেন দেখার কেউ নেই,আইন প্রয়োগকারী কর্মকতার অভাব নেই সেখানে দালাল চক্রের ফাদে পরে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে পাসপোর্ট ও মোটরসাইকেল ডাইভিং লাইসেন্স করতে আসা লোকজনের।
One thought on “গাইবান্ধায় পাসপোর্ট অফিসে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য”