জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাংবাদিক জোটের আয়োজনে হাসনাত-রাকিব মঞ্জুরসহ ১২ ছাত্রসংগঠনের নেতার উপস্থিতিতে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিজ্ঞান অনুষদ চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে উদ্বোধক হিসেনবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম। এছাড়া আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, জাস্টিস ফর জুলাইয়ের কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্য সচিব মীর ছিবগাতুল্লাহ তকি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ, ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর সভাপতি নুরুল বাশার আজিজী সহ অন্যান্য সংগঠনের সম্মানিত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি অমৃত রায় বলেন, দেশ তথা মাতৃভূমি সবার আগে। দেশে বিশৃঙ্খল পরিবেশ রুখে সকলকের ঐক্যবদ্ধ হওয়া এখন সময়ের দাবী। সকলকে একত্রিত হয়ে শান্তিপূর্ণ ও দেশের কল্যাণে নিজেদের ঐক্যগঠন করতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক জোটের এ আয়োজন এক অগ্রনী ভূমিকা রাখবে। অনুষ্ঠানটি শান্তিপূর্ণভাবে ও সুশৃঙ্খলার সহিত সম্পন্ন হয়েছে।
এবিষয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজক সুবর্ণ আসসাইফ বলেন, ২৪-এর গনঅভ্যুত্থানের পরবর্তী বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজন। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ।
সার্বিক বিষয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহমুদুল হাসান তানভীর বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশ গঠনে কাজ করতে আমাদের এই উদ্যোগ।
ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, প্রতিটি দলের মধ্যে নীতিগত পার্থক্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক গণতন্ত্র। মতামতের পার্থক্য কে সম্মান জানিয়ে সকল ছাত্রসমাজ একত্রিত হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
সকল দলিয়ো স্লোগান বর্জন করে দুইটি স্লোগানে মুখরিত হয়েছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ঐক্য মঞ্চ।
” বিপ্লবে বলিয়ান, নির্ভীক জবিয়ান “, এবং ” দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা, ঢাকা “।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক জোটের মধ্যে ছিলো সাংবাদিক সমিতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি।