৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর তার সরকারের পতন এখন একটি বাস্তব সত্য। রাজনৈতিক অঙ্গনে যখন নতুন সমীকরণ তৈরি হচ্ছে, তখন রেলপথের রাজনীতিতে আলোচনায় রয়েছেন রেল বিতর্কিত ঠিকাদার শাহ আলম। আওয়ামী লীগের শাসনামলে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সূজনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার সুবাদে রেলের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রেখেছিলেন তিনি। তবে সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে তার এই সমীকরণও বদলে গেছে।
রেলওয়ে এর একাধিক কর্মকর্তা বলেন ইশ্বরদীনি ঈসা মুসা দিনে মুসা এটাই বিতর্কিত ঠিকাদার শাহ আলমের খেলা।
সম্প্রতি বিএনপির নেতা ও সাবেক মন্ত্রী সালাউদ্দিন আহমেদের গুলশানের বাসায় শাহ আলমের তোলা একটি ছবি নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। গুঞ্জন রয়েছে, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর তিনি এখন বিএনপির প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন।
নুরুল ইসলাম সূজনের সঙ্গে পুরনো দিনের ছবি এবং সালাউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সদ্য তোলা ছবির মাধ্যমে স্পষ্ট হচ্ছে শাহ আলমের অবস্থান বদল। নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় নিজের প্রভাব বজায় রাখতে শাহ আলম এখন নতুন জোটের পথ খুঁজছেন বলে মনে হচ্ছে।
তৃণমূল বিএনপি টিকাদাররা জানাই আমরা যারা রাজপথে জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছি তারাই অবহেলিত হচ্ছি আওয়ামী হাইব্রি লীগ দের কারণে।শাহ আলমের ঘনিষ্ঠজনরা বলেন অবৈধভাবে দুর্নীতি মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার আমলে ১৭ বছরে বাংলাদেশের রেলওয়ে থেকে শত কোটি টাকা আয় করেছেন বিতর্কিত ঠিকাদার শাহ আলম। রেল সূত্রে জানা যায় গত ৩ নভেম্বর ২৪ টি বেসরকারি ট্রেনের লিজ বাতিল করেন রেলপথ মন্ত্রণালয় আরো ১৫ থেকে ২০ টি লিজ বাতিল করার প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়।
সূত্রে জানা যায় নিয়োগ টেন্ডার লিজ নিয়ন্ত্রণ নিতে (সাবেক আওয়ামী হাইব্রিড লীগ)এখন তিনি বিএনপির হাইব্রিড দলের হয়ে বিতর্কিত ঠিকাদার শাহ আলমের একটি বিশাল সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন।
অনুসন্ধান বলছে, শাহ আলমের এই অবস্থান বদল শুধু রাজনৈতিক টিকে থাকার কৌশল নয়, বরং রেলপথ নিয়ন্ত্রণের নিয়োগ টেন্ডার লিজ একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ। সরকারের পতনের পর বিএনপির সঙ্গে তার এই ঘনিষ্ঠতা রাজনৈতিক মঞ্চে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
নতুন সরকারের অধীনে রেলপথ নিয়ন্ত্রণ নিতে বিতর্কিত ঠিকাদার শাহ আলমের নতুন কৌশল।