Dhaka ১২:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গা জেলার আজগবি ঠাকুরপুর পীরগঞ্জ জামে মসজিদ নিয়ে বিভিন্ন অজানা রহস্য

চুয়াডাঙ্গায় আজগবি ঠাকুরপুর পীরগঞ্জ জামে মসজিদ নিয়ে বিভিন্ন অজানা রহস্য যেন থেকেই যায় এই জেলার ঠাকুরপুর পীরগঞ্জ জামে মসজিদে দেশ-বিদেশ সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে মানুষের আনাগোনা যেন সব সময় লেগেই থাকে অনেকেই মনে করেন যে এই মসজিদে মান্নত করলে তাদের মনের আশাগুলো পূরণ হবে তাই দেশ-বিদেশসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে মানুষ এই মসজিদে এসে মান্নত করেন।
এদিকে খোঁজ খবর নিয়ে জানাযায় স্থানীয় অনেকেই বলেন আমাদের জন্মের অনেক আগে থেকেই এই মসজিদে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে মানুষ জন আসেন এবং তাদের যতো মনের চাওয়া এখানে এসে প্রকাশ করেন এবং তাদের আশাগুলো নাকি পুরনও হয় আমরা ছোট থেকে শুনে আসছি বাপ দাদার কাছ থেকে এটা, এবং আমরা বড় হয়েও দেখছি এখানে মানুষ জন আসে যায় এবং তাদের মনের যত চাহিদা প্রকাশ করেন এবং তা নাকি পূরণ হয়, এটার অনেক বাস্তব প্রমাণ আছে যে তাদের মনের চাওয়া গুলো পূরণ হয়েছে এবং অনেকেই মনে করেন যে এটা আজগবি মসজিদ এখানে দেশ বিদেশ সহদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষেরা আছে প্রতি বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার তারা গরু ছাগল হাঁস মুরগি নিয়ে এসে জবাই করে রান্না করে সিন্নি করে থাকেন ।
প্রতি বছর এখানে বাৎসরিক মাহফিল হয়। আর যখন মাহফিল হয় তখন হাজার হাজার মানুষ এখানে আছে, মহাফিলে এসে অনেকেই গরু ছাগল হাঁস মুরগি সহ আর্থিক টাকা পয়সা দান করে থাকেন,ও দান করা পশুগুলো সেই সময় জবাই করে মাহফিলে খাওয়ানো হয় দেশ-বিদেশ থেকে আশা মানুষদের এবং মাহফিল সহ যেকোনো সময় যেই দানগুলো তারা করে থাকেন সেইগুলো দিয়ে এই ঠাকুরপুর পীরগঞ্জ জামে মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়।
এসময় এই তথ্যটি পরিপূর্ণ সত্য কিনা খোঁজখবর নিলে পাওয়া যায় এই ঠাকুরপুর পীরগঞ্জ জামে মসজিদের সাবেক মুয়াজ্জিন সাহেব কে তার কাছে তথ্যটি জানতে চাইলে সে জানান আমার বয়স হয়েছে তাই এই মসজিদে ময়াজ্জিন এর দায়িত্ব এখন আর পালন করি না, আমার বয়স ৬৮ বছর প্লাস আমি যখন ছোট ছিলাম তখন থেকেই আমি আমার বাপ দাদার কাছ থেকে শুনে আসছিলাম এই কথাগুলো এবং যখন এই মসজিদের মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পাই তখন থেকে দেখি দেশ-বিদেশ সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে মানুষরা এখানে আসেন।
এবং তাদের মনের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করেন এবং চাওয়া পাওয়া গুলো তাদের পূরণ হয়ে থাকে বলে আমি অনেকবারই শুনেছি তাদের কাছ থেকে, এখানে অনেকেই তেল পানি রেখে যায় মসজিদের বাইরে তেলপানি গুলো পড়ানোর জন্য এবং পরে এসে সেইগুলো তারা নিয়ে যান, এসময় তিনার কাছে জানতে চাইলে কেমন মনের আসা পুরন হয় বা যারা এখানে আছে তারা কি ধরনের জিনিস চাই,এসময় তিনি তখন জানান এটা আমি শিওর জানিনা তাদের মনের কি চাওয়া কিন্তু শুনেছি অনেকেই আছে যাদের  ছেলে মেয়ে হয় না তারা নাকি চাই এবং এর ভিতর থেকে অনেকেরই ছেলে মেয়ে সহ সকল মনের আশাগুলো পূরণ হয়েছে বলে তারা এসে জানান, আমি মনে করি এটা মহান আল্লাহতালার কোন কুদরতি কিছু হবে হয়তো তা না হলে কিভাবে তাদের মনের ইচ্ছে গুলো পূরণ হয়।
এবং যাদের মনের ইচ্ছা গুলো পূরণ হয় তারাই এখানে এসে মান্নত করা জিনিসগুলো দান করে জান কিন্তু তিনি জানান পৃথিবীতে কোন আজগবি বলে মসজিদ নাই বা কখনো হইনি মহান আল্লাহ তা’আলা বিভিন্ন সময়ে পীর আউলিয়া বুজুর্গ ব্যক্তিদের কে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে তারা পৃথিবীতে এসে দিনের কাজের জন্য বিভিন্ন জায়গায় শরীয়ে ছিটিয়ে পড়েন এবং দিনের দাওয়াত দিয়ে বেড়ান বা কাজ করেন সেই সময় হয়তো এখানে এসে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন এটা সেই সময় হয়তো প্রকাশ হয়নি কারণ এখনকার মত সেই সময় এত ঘনবসতি ছিলনা তাই এখন ঘনবসতির কারণেই এটা অনেকের মনের ভিতরেই প্রশ্ন জাগে যেটা আজগুবি ভাবে মসজিদটি নির্মাণ কাজ হয়েছে। এই মসজিদটি নিয়ে দেশ-বিদেশ সহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রিন্ট পত্রিকা সহ ইলেকট্রিক মিডিয়ায় বহুবার নিউজ হয়েছে, আমরা ধারণা করে থাকি এই মসজিদটির আনুমানিক বয়স ৬০০ থেকে ৭০০ বছর হতে পারে বা তারও বেশি এই মসজিদটি অজানা রহস্য যেন থেকেই যাবে বলে তিনি জানান।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

চুয়াডাঙ্গা জেলার আজগবি ঠাকুরপুর পীরগঞ্জ জামে মসজিদ নিয়ে বিভিন্ন অজানা রহস্য

Update Time : ১০:২৫:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
চুয়াডাঙ্গায় আজগবি ঠাকুরপুর পীরগঞ্জ জামে মসজিদ নিয়ে বিভিন্ন অজানা রহস্য যেন থেকেই যায় এই জেলার ঠাকুরপুর পীরগঞ্জ জামে মসজিদে দেশ-বিদেশ সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে মানুষের আনাগোনা যেন সব সময় লেগেই থাকে অনেকেই মনে করেন যে এই মসজিদে মান্নত করলে তাদের মনের আশাগুলো পূরণ হবে তাই দেশ-বিদেশসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে মানুষ এই মসজিদে এসে মান্নত করেন।
এদিকে খোঁজ খবর নিয়ে জানাযায় স্থানীয় অনেকেই বলেন আমাদের জন্মের অনেক আগে থেকেই এই মসজিদে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে মানুষ জন আসেন এবং তাদের যতো মনের চাওয়া এখানে এসে প্রকাশ করেন এবং তাদের আশাগুলো নাকি পুরনও হয় আমরা ছোট থেকে শুনে আসছি বাপ দাদার কাছ থেকে এটা, এবং আমরা বড় হয়েও দেখছি এখানে মানুষ জন আসে যায় এবং তাদের মনের যত চাহিদা প্রকাশ করেন এবং তা নাকি পূরণ হয়, এটার অনেক বাস্তব প্রমাণ আছে যে তাদের মনের চাওয়া গুলো পূরণ হয়েছে এবং অনেকেই মনে করেন যে এটা আজগবি মসজিদ এখানে দেশ বিদেশ সহদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষেরা আছে প্রতি বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার তারা গরু ছাগল হাঁস মুরগি নিয়ে এসে জবাই করে রান্না করে সিন্নি করে থাকেন ।
প্রতি বছর এখানে বাৎসরিক মাহফিল হয়। আর যখন মাহফিল হয় তখন হাজার হাজার মানুষ এখানে আছে, মহাফিলে এসে অনেকেই গরু ছাগল হাঁস মুরগি সহ আর্থিক টাকা পয়সা দান করে থাকেন,ও দান করা পশুগুলো সেই সময় জবাই করে মাহফিলে খাওয়ানো হয় দেশ-বিদেশ থেকে আশা মানুষদের এবং মাহফিল সহ যেকোনো সময় যেই দানগুলো তারা করে থাকেন সেইগুলো দিয়ে এই ঠাকুরপুর পীরগঞ্জ জামে মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়।
এসময় এই তথ্যটি পরিপূর্ণ সত্য কিনা খোঁজখবর নিলে পাওয়া যায় এই ঠাকুরপুর পীরগঞ্জ জামে মসজিদের সাবেক মুয়াজ্জিন সাহেব কে তার কাছে তথ্যটি জানতে চাইলে সে জানান আমার বয়স হয়েছে তাই এই মসজিদে ময়াজ্জিন এর দায়িত্ব এখন আর পালন করি না, আমার বয়স ৬৮ বছর প্লাস আমি যখন ছোট ছিলাম তখন থেকেই আমি আমার বাপ দাদার কাছ থেকে শুনে আসছিলাম এই কথাগুলো এবং যখন এই মসজিদের মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পাই তখন থেকে দেখি দেশ-বিদেশ সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে মানুষরা এখানে আসেন।
এবং তাদের মনের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করেন এবং চাওয়া পাওয়া গুলো তাদের পূরণ হয়ে থাকে বলে আমি অনেকবারই শুনেছি তাদের কাছ থেকে, এখানে অনেকেই তেল পানি রেখে যায় মসজিদের বাইরে তেলপানি গুলো পড়ানোর জন্য এবং পরে এসে সেইগুলো তারা নিয়ে যান, এসময় তিনার কাছে জানতে চাইলে কেমন মনের আসা পুরন হয় বা যারা এখানে আছে তারা কি ধরনের জিনিস চাই,এসময় তিনি তখন জানান এটা আমি শিওর জানিনা তাদের মনের কি চাওয়া কিন্তু শুনেছি অনেকেই আছে যাদের  ছেলে মেয়ে হয় না তারা নাকি চাই এবং এর ভিতর থেকে অনেকেরই ছেলে মেয়ে সহ সকল মনের আশাগুলো পূরণ হয়েছে বলে তারা এসে জানান, আমি মনে করি এটা মহান আল্লাহতালার কোন কুদরতি কিছু হবে হয়তো তা না হলে কিভাবে তাদের মনের ইচ্ছে গুলো পূরণ হয়।
এবং যাদের মনের ইচ্ছা গুলো পূরণ হয় তারাই এখানে এসে মান্নত করা জিনিসগুলো দান করে জান কিন্তু তিনি জানান পৃথিবীতে কোন আজগবি বলে মসজিদ নাই বা কখনো হইনি মহান আল্লাহ তা’আলা বিভিন্ন সময়ে পীর আউলিয়া বুজুর্গ ব্যক্তিদের কে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে তারা পৃথিবীতে এসে দিনের কাজের জন্য বিভিন্ন জায়গায় শরীয়ে ছিটিয়ে পড়েন এবং দিনের দাওয়াত দিয়ে বেড়ান বা কাজ করেন সেই সময় হয়তো এখানে এসে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন এটা সেই সময় হয়তো প্রকাশ হয়নি কারণ এখনকার মত সেই সময় এত ঘনবসতি ছিলনা তাই এখন ঘনবসতির কারণেই এটা অনেকের মনের ভিতরেই প্রশ্ন জাগে যেটা আজগুবি ভাবে মসজিদটি নির্মাণ কাজ হয়েছে। এই মসজিদটি নিয়ে দেশ-বিদেশ সহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রিন্ট পত্রিকা সহ ইলেকট্রিক মিডিয়ায় বহুবার নিউজ হয়েছে, আমরা ধারণা করে থাকি এই মসজিদটির আনুমানিক বয়স ৬০০ থেকে ৭০০ বছর হতে পারে বা তারও বেশি এই মসজিদটি অজানা রহস্য যেন থেকেই যাবে বলে তিনি জানান।