পথে পথে চাঁদাবাজি, অযৌক্তিক শুল্ক আরোপ ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর সিন্ডিকেটের কারণে ধাপে ধাপে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আরো পড়ুন: বিদেশে থাকা ১০ দেশের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরার নির্দেশ
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলের আইকন ভবনে রমজান উপলক্ষে নিত্যপণ্য মজুত, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে এফবিসিসিআই, নিত্যপণ্যসামগ্রী উৎপাদক ও আমদানিকারকরা ছাড়াও যেখানে অংশ নেন পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা। এ সময় চাঁদাবাজি, অযৌক্তিক শুল্ক আরোপ ও সিন্ডিকেট বন্ধ না করা গেলে রোজায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় বলে মত দিয়েছেন সভায় উপস্থিত ব্যবসায়ীরা। একইসঙ্গে এবারের রমজানে নিত্যপণ্যের ওপর গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রভাবও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপই বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক ও ন্যায্য মুনাফা করতে হবে। পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে দাম যাতে অস্বাভাবিক না হয়, সেজন্য তদারকি জোরদার করতে হবে।
অসৎ ব্যবসায়ীর পক্ষে এফবিসিসিআই কথা বলবে না জানিয়ে এরপর তিনি বলেন, কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর বিষয়ে বিভিন্ন বাজার সমিতির নেতাদের সতর্ক থাকতে হবে। কৃত্রিম সংকট ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চাঁদা চাইলে এফবিসিসিআই’র হটলাইনে কল করে তথ্য দিলে তা সরকারকে জানানো হবে।
আরো পড়ুন: বিপিএলে ফের সাকিব-তামিম দ্বৈরথ
রমজানে বাজার তদারকির বিষয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, পুলিশ দিয়ে বাজার তদারকির দরকার নেই। বাজার কমিটির নেতারা করলেই হবে। পণ্যের মূল্য তদারকি না করলে ব্যবসায়ীদের সরকারিভাবে হয়রানির শিকার হতে হবে। ফলে প্রতিটি বাজার কমিটিকে নিজে থেকেই এ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।
সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরেন মিল মালিক, আড়তদার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। এসময় রমজান উপলক্ষে পণ্যের যথেষ্ট মজুত আছে বলে জানান তারা এবং বলেন, এবারের রমজানে দাম বাড়ার কোনও যৌক্তিক কারণ নেই।
আরো পড়ুন: হল্যান্ডের ৫ গোলে ম্যানসিটির বড় জয়