লালকার্ড ও হলুদকার্ডের পাশাপাশি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে নীল কার্ড ব্যবস্থা ফুটবল অঙ্গনে হইচই ফেলে দেয়। তবে এখনই চালু হচ্ছে না নীল কার্ড ব্যবস্থা। ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ডের (আইএফএবি) বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শনিবার (২ মার্চ) স্কটল্যান্ডে আইএফএবি’র বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে তিনটি বিষয়ে নতুন আইন অনুমোদন করা হয়েছে। জানা গেছে, নীল কার্ড প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত না হলেও হ্যান্ডবল, পেনাল্টি কিক ও গোলকিপার কর্তৃক বল ধরে রাখার বিষয়ে তিনটি নতুন আইন অনুমোদন করা হয়েছে, যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
আরো পড়ুন:আজ ফুটবলের দুই সুপারস্টারের জন্মদিন
শনিবার আইএফএবি’র বার্ষিক সাধারণ সভা পর দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও নীল কার্ড বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এতে তিনটি আইন পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে- ইচ্ছাকৃত হ্যান্ডবল হলেই লাল কার্ড দেখানো হবে। দ্বিতীয়টি- বর্তমানে একজন গোলকিপার ৬ সেকেন্ড পর্যন্ত বল দখলে রাখতে পারেন, এটি ৮ সেকেন্ডে উন্নীত করা হয়েছে। আর তৃতীয়টি হচ্ছে- পেনাল্টি কিকের সময় বল নির্দিষ্ট স্পটের ঠিক মাঝখানেই রাখতে হবে, এত দিন যা আইনে স্পষ্ট ছিল না। বর্তমানে রেফারিরা লঘু অপরাধের ক্ষেত্রে হলুদ কার্ড এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ও গুরু অপরাধের ক্ষেত্রে লাল কার্ড দেখিয়ে থাকেন। ফুটবলে শৃঙ্খলা বাড়ানোর ভাবনা থেকে নীল কার্ড চালুর কথা এসেছে। এ কার্ডের নিয়মানুযায়ী, কোনো খেলোয়াড় নীল কার্ড দেখলে ১০ মিনিটের জন্য মাঠের বাইরে থাকবেন। ম্যাচের কোনো কর্মকর্তার প্রতি অশোভন আচরণেও এই শাস্তি দেওয়া হবে। তবে ফিফার আপত্তিতে সেটি এখন আটকে গেছে।
আরো পড়ুন:রিয়াল মাদ্রিদের কাছে মোটা অঙ্কের বেতন ও বোনাস দাবি এমবাপ্পের
ফুটবলে নতুন আইন সংযোজন করতে হলে আইএফএবি এজিএমে অনুমোদন পেতে হয়। আর অনুমোদনের জন্য দরকার হয় ৮ ভোটের মধ্যে কমপক্ষে ৬টি। চারটি ভোটের মালিক ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, বাকি চারটি ফিফার। স্কটল্যান্ডে এজিএম অনুষ্ঠানের আগের দিন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো সরাসরিই বলে দেন, ফিফার শীর্ষস্তর ‘নীল কার্ড’ ব্যবহারের বিরোধী। গত বছরের নভেম্বরে নতুন এই কার্ডের প্রস্তাব এসেছিল। সে সময়ে ফুটবল সংশ্লিষ্ট আইনপ্রণেতারা দাবি করেছিলেন, ম্যাচ অফিসিয়ালদের প্রতি খেলোয়াড়দের আচরণকে নিয়ন্ত্রণে আনতে এই নিয়ম দরকার। তারা এ-ও মনে করেন, যদি কোনো ফুটবলার কৌশলগত এমন কোনো ফাউল করেন, যা লালকার্ড দেওয়ার মতো নয়; আবার হলুদকার্ডও কম হয়ে যায়; তখন রেফারি নীলকার্ড ব্যবহার করবেন। নীল কার্ডের ব্যবহার হিসেবে একটি উদাহরণও উঠে এসেছে। ২০২০ ইউরোর ফাইনালে লক্ষ্যভেদ করতে যাওয়ার একপর্যায়ে ইতালির ডিফেন্ডার জর্জিও চিয়েললিনি পেছন থেকে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড় বুকায়ো সাকাকে জার্সিতে টেনে ধরছিলেন। তখন নীলকার্ডের প্রচলন থাকলে, ইতালিয়ান ডিফেন্ডারকে তা দেখানো যেত।
One thought on “ফুটবলে তিন পরিবর্তন, নীল কার্ড নিয়ে যে সিদ্ধান্ত হলো”