সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও এলাকায় যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন ও বজলু গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষে পারভেজ নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এসময় লিটন মিয়া, রুহুল আমিন, আক্তার হোসেন, হৃদয় হোসেন, মোতালেব মিয়া, শামীম সরকার ও আলম সরকারসহ ৮জনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বাদ জুম্মা নামাযের পর এই সংঘর্ষের সুত্রপাত শুরু হয়। টানা তিন ঘন্টা দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় নিতহ পারভেজ গ্রুপের লোকজন প্রতিপক্ষের ২০টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে। নিহত পারভেজ পশ্চিম কান্দারগাঁ গ্রামের মোতালেবের ছেলে। সে জাকির গ্রুপের লোক বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
সুত্র জানায়, আজ শুক্রবার সকালে পিরোজপুর যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন তার বাড়িতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে যায়। এসময় প্রতিপক্ষ বজলূ গ্রুপের জসিম বাঁধা দেয়। এ নিয়ে জাকিরের সাথে বাকবিতন্ডা ঘটনা ঘটে। পরে জুম্মার নামাযের পর জাকিরের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জনের এক দল লোক বজলুর বাড়িতে হামলা করে। এ নিয়ে দুই গ্রুপের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা এতে জাকির গ্রুপের পারভেজকে ঘটনাস্থলে কুপিয়ে হত্যা করে। এ খবর জড়িয়ে পড়লে জাকিরের লোকজন শরীরের বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট করে। টানা তিন ঘন্টা দফায় দফায় সংঘর্ষে আরো ৮জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশের কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
সোনারগাঁ থানার ওসি অপারেশন সাইফুল ইসলাম সোহাগ জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশের কয়েকটি টিম ও ডিবি পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
https://www.youtube.com/watch?v=HwlmYggnwDA
2 thoughts on “সোনারগাঁয়ে আধিপত্য বিস্তারে যুবলীগ ও আ’লীগ নেতার সংঘর্ষ”