Dhaka ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাতক্ষীরায় নৌ পুলিশ ইন্সপেক্টর এর নামে দুর্নীতির অভিযোগ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গোয়ালিনি এলাকায় খাল পেটুয়া কপোতাক্ষ নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে | জানা যায় স্থানীয় নাগরিক বুড়িখালি এলাকার মামুন নামে এক ব্যক্তি আইজিপি মহোদয় বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন| উক্ত অভিযোগে বলা হয় কিছু প্রভাবশালী নেতা এবং বুড়িখালিনী নৌ থানা  ইন্সপেক্টরের ইন্ধনে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কাজ করা হচ্ছে| আমাদের উপকূলীয় অঞ্চল গাবুরা ইউনিয়ন ভেরিবাদের কাজ এর জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বলগেট এসে নৌ পুলিশের ওসিকে টাকা দিয়ে  নীল ডুমুর কপোতক্ষ নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে।
এতে এলাকায় প্রতিনিয়ত নদী ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে| এলাকার সাধারণ মানুষ বাধা দিলে  নৌ পুলিশের ওসিকে বলে বিভিন্ন মামলার ভয় ভীতি দিয়ে ফাঁসিয়ে দেবে বলে হুমকি দেয় প্রভাবশালীরা| এছাড়াও নদীপথে চাঁদা আদায় বরফ পাচার ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে নৌ পুলিশের ওসি আহসান হাবীব| স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এসব টাকার ভাগীদার এবং নৌ থানার ইন্সপেক্টর আহসান হাবিব এর সহযোগী হিসেবে, কাজ করেন রেনু পোনা ব্যবসায়ী কুদ্দুস, চাল ব্যবসায়ী রফিক| এবং এদের মাধ্যমে নীল ডুমুর বাজারে এলাকায় চাঁদাবাজি সিন্ডিগেট তৈরি করে রেখেছেন ইন্সপেক্টর আহসান হাবিব, তার ভয়ে মুখ খুলতে চান না কেউ অদ্য ১৬-১১-২৩ তারিখে  বালগেটের টাকার জন্য মামুন নামক ব্যক্তিকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখায়, পরবর্তী মামুন বাঁচার জন্য তার বন্ধু সাগর মোবাইল নাম্বার (০১৭১৮০৯ ৫২৫০) এর মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি রফা দফা করেন।
এখানেই শেষ নয় অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনে করতে গেলে বলগেট মাসিক ৫ হাজার কোন ক্ষেত্রে ১০০০০ টাকা জোরপূর্বক মামলার ভয় ভীতি দেখিয়ে অফিসার  ইনচার্জ নিজে টাকা উত্তোলন করেন| এবং নীল ডুমুর বাজারের দোকানদার বিকাশ ব্যবসায়ী গোলাম এর মোবাইলেও লেনদেন হয় মোবাইল নম্বর(০১৭৩০৯৮৬৯০৪) গোলামের দোকান থেকে বিকাশে টাকা উত্তোলনেরও অভিযোগ পাওয়া যায় নৌ ইন্সপেক্টর আহসান হাবিবের নামে| এসব কাজে তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেন শ্যামনগরের বল গে ট ওয়াসলে মুহাম্মদ বাবু মোবাইল নাম্বার ০১৭৪৮৯৫২৮৩৩ বাবুর সাথে যোগাযোগ করলে তাৎক্ষণিক ফোনে পাওয়া যায়নি| অভিযোগে আরো বলা হয় নৌ পুলিশ ইন্সপেক্টর আহসান হাবীব পুলিশের ভাব মূর্তি নষ্ট করে ফেলছে, অতএব আপনার নিকট বিনীত অনুরোধ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য এবং বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি ও জানান তিনি|

2 thoughts on “সাতক্ষীরায় নৌ পুলিশ ইন্সপেক্টর এর নামে দুর্নীতির অভিযোগ

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

পুলিশকে জনবান্ধব করতে সংস্কার করা হবে : পুলিশ সংস্কার কমিশন চেয়ারম্যান

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

সাতক্ষীরায় নৌ পুলিশ ইন্সপেক্টর এর নামে দুর্নীতির অভিযোগ

Update Time : ০৬:৩৭:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গোয়ালিনি এলাকায় খাল পেটুয়া কপোতাক্ষ নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে | জানা যায় স্থানীয় নাগরিক বুড়িখালি এলাকার মামুন নামে এক ব্যক্তি আইজিপি মহোদয় বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন| উক্ত অভিযোগে বলা হয় কিছু প্রভাবশালী নেতা এবং বুড়িখালিনী নৌ থানা  ইন্সপেক্টরের ইন্ধনে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কাজ করা হচ্ছে| আমাদের উপকূলীয় অঞ্চল গাবুরা ইউনিয়ন ভেরিবাদের কাজ এর জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বলগেট এসে নৌ পুলিশের ওসিকে টাকা দিয়ে  নীল ডুমুর কপোতক্ষ নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে।
আরো পড়ুন:সাতক্ষীরায় জেলা প্রশাসন ও তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের আয়োজনে ল্যাপটপ বিতরণ
এতে এলাকায় প্রতিনিয়ত নদী ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে| এলাকার সাধারণ মানুষ বাধা দিলে  নৌ পুলিশের ওসিকে বলে বিভিন্ন মামলার ভয় ভীতি দিয়ে ফাঁসিয়ে দেবে বলে হুমকি দেয় প্রভাবশালীরা| এছাড়াও নদীপথে চাঁদা আদায় বরফ পাচার ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে নৌ পুলিশের ওসি আহসান হাবীব| স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এসব টাকার ভাগীদার এবং নৌ থানার ইন্সপেক্টর আহসান হাবিব এর সহযোগী হিসেবে, কাজ করেন রেনু পোনা ব্যবসায়ী কুদ্দুস, চাল ব্যবসায়ী রফিক| এবং এদের মাধ্যমে নীল ডুমুর বাজারে এলাকায় চাঁদাবাজি সিন্ডিগেট তৈরি করে রেখেছেন ইন্সপেক্টর আহসান হাবিব, তার ভয়ে মুখ খুলতে চান না কেউ অদ্য ১৬-১১-২৩ তারিখে  বালগেটের টাকার জন্য মামুন নামক ব্যক্তিকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখায়, পরবর্তী মামুন বাঁচার জন্য তার বন্ধু সাগর মোবাইল নাম্বার (০১৭১৮০৯ ৫২৫০) এর মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি রফা দফা করেন।
আরো পড়ুন:সাতক্ষীরা ভোমরা স্থল বন্দরে ভারতীয় ট্রাকে চাঁদাবাজি
এখানেই শেষ নয় অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনে করতে গেলে বলগেট মাসিক ৫ হাজার কোন ক্ষেত্রে ১০০০০ টাকা জোরপূর্বক মামলার ভয় ভীতি দেখিয়ে অফিসার  ইনচার্জ নিজে টাকা উত্তোলন করেন| এবং নীল ডুমুর বাজারের দোকানদার বিকাশ ব্যবসায়ী গোলাম এর মোবাইলেও লেনদেন হয় মোবাইল নম্বর(০১৭৩০৯৮৬৯০৪) গোলামের দোকান থেকে বিকাশে টাকা উত্তোলনেরও অভিযোগ পাওয়া যায় নৌ ইন্সপেক্টর আহসান হাবিবের নামে| এসব কাজে তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেন শ্যামনগরের বল গে ট ওয়াসলে মুহাম্মদ বাবু মোবাইল নাম্বার ০১৭৪৮৯৫২৮৩৩ বাবুর সাথে যোগাযোগ করলে তাৎক্ষণিক ফোনে পাওয়া যায়নি| অভিযোগে আরো বলা হয় নৌ পুলিশ ইন্সপেক্টর আহসান হাবীব পুলিশের ভাব মূর্তি নষ্ট করে ফেলছে, অতএব আপনার নিকট বিনীত অনুরোধ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য এবং বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি ও জানান তিনি|