সাতক্ষীরা দক্ষিণ অঞ্চলের ভোমরা স্থূল বন্দরে ট্রাক থেকে চাঁদাবাজির টাকা চলছে ভাগবাটোয়ারা। ভারতীয় ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় বন্ধের ব্যবসায়িরা রাস্তায় নামছে। ব্যবসায়ীরা জানান আলোচনায় সাতক্ষীরার কিছু অসাধু নেতারা ব্যবসায়ীদের ঢেকে এক ঘরে বসানোর ব্যবস্থা করছে। আলোচনায় ভাগাভাগি ঠিক করা হচ্ছে। নগদ টাকার গন্ধে সব ঠিকঠাক। জনপ্রতিনিধি জন্য আলাদা টাকা রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।কয়েক জন ব্যবসায়ি জানান, সাবেক এসপি মোস্তাফিজুর রহমান সহ কয়েক জন জনপ্রতিনিধি মিলে ভারতীয় ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়ের জন্য সভা করে। সভায় সিদ্ধান্ত হয় ট্রাক প্রতি ২০০ টাকা করে চাঁদা আদায়ের। শুরু হয় চাঁদা আদায়। সিএন্ড এফ এজেন্টেরা ও টাকা ভাগাভাগি করে নেই।
আরো পড়ুন:সাতক্ষীরা শহরে কাটিয়া ঝুটি তলার বাজার কমিটির তৃতীয়তম নির্বাচন অনুষ্ঠিত
গত মঙ্গলবার জাতীয় দৈনিক সংবাদ দিগন্তে নিউজ হওয়ার পর বিকালে বন্দরের নেতা ও ব্যবসায়িরা মিলে ভারতীয় ট্রাক থেকে কয়েক ঘন্টা চাঁদাবাজি বন্ধ থাকলেও আজ সকাল থেকে ভোমরা স্থল বন্দরের জিরো পয়েন্টে ভারতীয় আমদানীজাত পন্যবাহি ট্রাক থেকে আবারো চাঁদা আদায় অব্যাহত রয়েছে। ট্রাক প্রতি ভারতীয় দুইশো রুপি হারে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের নামে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করলেও প্রশাসন নীরব দর্শকের ভ‚মিকা পালন করে চলেছে। প্রশ্ন উঠেছে এই চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের নৈপথ্যের গডফাদার কে?গতবছর ২১ জুন ভোমরা স্থল বন্দরে ভারতীয় আমদানীজাত পণ্যবাহি ট্রাক থেকে দুইশো রুপি হারে সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের নামে চাঁদাবাজি শুরু হয়। ঐদিন ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভাররা চাঁদাবজির প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করলে ৩ ঘন্টা আমদানী-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যহত হয়। এই ধরনের চাঁদাবাজির কারনে অভ্যন্তরীন বাজারে আমদানীজাত পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকে। ভোমরা আমদানী-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশন আমদানীজাত পণ্যবাহি ট্রাক থেকে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবীতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করলেও কোনো কাজ হয়নি। যার কারনে মঙ্গলবার বিকেলে ব্যবসায়ীরা সঙ্গবদ্ধ হয়ে চাঁদা আদায় কাজে নিয়োজিত সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের কর্মচারীকে জিরো পয়েন্ট থেকে উঠিয়ে দেয়।
আরো পড়ুন:সাতক্ষীরায় অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ
ফলে ঐ দিন বিকালে কয়েক ঘন্টা চাঁদাবাজি বন্ধ থাকে । কিন্তু আজ সকাল থেকে যথারীতি চাঁদাবাজি শুরু হয়। আজও ১৫৩টি আমদানীজাত ভারতীয় পণ্যবাহি ট্রাক থেকে ৩০ হাজার ৬ শত ভারতীয় রূপি চাঁদা আদায় করা হয়েছে। প্রকাশ্যে বৈদেশিক মুদ্রায় চাঁদা আদায় অব্যাহত থাকলেও দেখার যেন কেউ নেই।জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু ভোমরা স্থল বন্দর থেকে দূর্নীতি, চাঁদাবাজি ও জঞ্জালমুক্ত করার ঘোষণা দিলেও তার ভুমিকা নিয়েও ব্যবসায়ীদের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে। তবে এসব বিষয়ে সি এন্ড এফ এর কর্মকর্তারা কিছু জানাতে চাননি| ব্যবসায়ীরা মনে করেন এভাবে চাঁদাবাজি চলতে থাকলে দক্ষিণ অঞ্চলের এই স্থলো বন্দরটির ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়বে|
2 thoughts on “সাতক্ষীরা ভোমরা স্থূল বন্দরের চাঁদাবাজি”