Dhaka ০৬:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বগুড়া সান্তাহারে মোড়ে মোড়ে মৌসুমী শীতের পিঠা

বগুড়ার সান্তাহারে শীতের আগমনের সাথে মৌসুমী পিঠার ব্যবসা জমে উঠেছে। সকাল আর সন্ধ্যার হিমবাহ থেকেই বোঝা যাচ্ছে শীত এসে নগরীতে। শীত এলেই বাঙালীর মনে আসে শীতের পিঠার কথা। পিঠা ছাড়া বাংলার ও বাঙালীর শীত পূর্ণ হয় না।
সরজমিনে জানা গেছে, সান্তাহারের স্টেশন চত্তর, প্রধান সড়কের বিভিন্ন স্থানে, সান্তাহার পুরাতন মার্কেট চত্তর, নতুন বাজার, রেলগেট চত্তর ইত্যাদি স্থানে নানা নামে, নান দামে মৌসুমী পিঠা বিক্রি হচ্ছে সাকাল আর সন্ধ্যায়। এই সকল পিঠার মধ্যে চিতই, ভাপা, পাটিসাপটা, ডিমচিতই, দুধচিতই, মালপোয়া, নারিকেল পুলি, পাকন ইত্যাদি। ব্যবসায়ীরা শীতের এই মৌসুমে পিঠা ব্যবসা করে বাড়তি আয় করছে। কোন কোন স্থানে মহিলারাও পিঠার দোকান খুলে বসেছে।শীতে পিঠা খাওয়ার রীতি বাংলার চিরাচরিত সংস্কৃতির অংশ। সান্তাহারের পিঠার দোকানে সকাল ও সন্ধ্যায় পিঠা বেশি পাওয়া যায়। তবে সন্ধ্যার পর থেকে পিঠা বিক্রি বাড়তে খাকে। ৫ টাকা থেকে শুরু করে বিশ টাকা পযর্ন্ত বিভিন্ন পিঠা পাওয়া যায়।
সান্তাহার রেলগেটে ডিমচিতই পিঠা সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। ক্রেতারা লাইন দিয়ে এই দোকান থেকে ডিমের তৈরী ডিমচিতই সহ ডিমের তৈরী বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেয়ে থাকে। মধ্যরাত পযর্ন্ত চলে রেলগেট চত্তরে পিঠা
কেনা বেচা। নওগাঁ, আদমদিঘী  সদর,ছাতিয়ানগ্রাম. ওানীনগর থেকে পিঠাভক্তরা এখানে পিঠা খেতে আসে।অফিসগামী ও বাড়ি ফিরতি মানুষেরা অল্প কিছু টাকা খরচ করে নাস্তা সেরে নিচ্ছে এইসব পিঠা খেয়ে। এ ছাড়া নগর জীবনের নানা ব্যস্ততায় অনেকে এইসব পিঠার দোকান থেকে পরিবারের সদস্যদের জন্য পিঠা কিনে নিয়ে যায়। পিঠা কিনতে আসা স্কুল শিক্ষিকা মিসেস খোরসেদ খানম রুবি জানালেন, ‘সংসারের নানা ব্যস্ততায় সব সময় পিঠা বানানো হয় না। কেনাকাটার ফাঁকে তাই বাচ্চাদের জন্য পিঠা কিনে নিয়ে যাচ্ছি।
আবুল হোসেন নামে একজন বিক্রেতা জানালেন, ‘শীতের এই মৌসুমে সে প্রতিবছর পিঠার ব্যবসা করে । আয় ভালই হয়।’ শীতের এসব পিঠার সাথে পিঠা বিক্রেতারা বাড়তি হিসাবে সরিষার ভর্তা, ধনে পাতার ভর্তা ক্রেতাদের দিয়ে থাকেন। সান্তাহারের সবচেয়ে বড় পিঠার দোকান পৌওতা গ্রামের তনুর দোকান।৪/৫ জন কর্মচারী নিয়ে এই বিক্রেতা পিঠা ব্যবসা করে। এখানে প্রায় ৮/৯ রকম পিঠা পাওয়া যায়। বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এই দোকানে পিঠা বিক্রি হয়। এখানেও অনেক দুরের শহরের ক্রেতারা পিঠা খেতে আসেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

বগুড়া সান্তাহারে মোড়ে মোড়ে মৌসুমী শীতের পিঠা

Update Time : ০২:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
বগুড়ার সান্তাহারে শীতের আগমনের সাথে মৌসুমী পিঠার ব্যবসা জমে উঠেছে। সকাল আর সন্ধ্যার হিমবাহ থেকেই বোঝা যাচ্ছে শীত এসে নগরীতে। শীত এলেই বাঙালীর মনে আসে শীতের পিঠার কথা। পিঠা ছাড়া বাংলার ও বাঙালীর শীত পূর্ণ হয় না।
আরো পড়ুন: আদমদীঘিতে চাচিকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা
সরজমিনে জানা গেছে, সান্তাহারের স্টেশন চত্তর, প্রধান সড়কের বিভিন্ন স্থানে, সান্তাহার পুরাতন মার্কেট চত্তর, নতুন বাজার, রেলগেট চত্তর ইত্যাদি স্থানে নানা নামে, নান দামে মৌসুমী পিঠা বিক্রি হচ্ছে সাকাল আর সন্ধ্যায়। এই সকল পিঠার মধ্যে চিতই, ভাপা, পাটিসাপটা, ডিমচিতই, দুধচিতই, মালপোয়া, নারিকেল পুলি, পাকন ইত্যাদি। ব্যবসায়ীরা শীতের এই মৌসুমে পিঠা ব্যবসা করে বাড়তি আয় করছে। কোন কোন স্থানে মহিলারাও পিঠার দোকান খুলে বসেছে।শীতে পিঠা খাওয়ার রীতি বাংলার চিরাচরিত সংস্কৃতির অংশ। সান্তাহারের পিঠার দোকানে সকাল ও সন্ধ্যায় পিঠা বেশি পাওয়া যায়। তবে সন্ধ্যার পর থেকে পিঠা বিক্রি বাড়তে খাকে। ৫ টাকা থেকে শুরু করে বিশ টাকা পযর্ন্ত বিভিন্ন পিঠা পাওয়া যায়।
সান্তাহার রেলগেটে ডিমচিতই পিঠা সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। ক্রেতারা লাইন দিয়ে এই দোকান থেকে ডিমের তৈরী ডিমচিতই সহ ডিমের তৈরী বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেয়ে থাকে। মধ্যরাত পযর্ন্ত চলে রেলগেট চত্তরে পিঠা
কেনা বেচা। নওগাঁ, আদমদিঘী  সদর,ছাতিয়ানগ্রাম. ওানীনগর থেকে পিঠাভক্তরা এখানে পিঠা খেতে আসে।অফিসগামী ও বাড়ি ফিরতি মানুষেরা অল্প কিছু টাকা খরচ করে নাস্তা সেরে নিচ্ছে এইসব পিঠা খেয়ে। এ ছাড়া নগর জীবনের নানা ব্যস্ততায় অনেকে এইসব পিঠার দোকান থেকে পরিবারের সদস্যদের জন্য পিঠা কিনে নিয়ে যায়। পিঠা কিনতে আসা স্কুল শিক্ষিকা মিসেস খোরসেদ খানম রুবি জানালেন, ‘সংসারের নানা ব্যস্ততায় সব সময় পিঠা বানানো হয় না। কেনাকাটার ফাঁকে তাই বাচ্চাদের জন্য পিঠা কিনে নিয়ে যাচ্ছি।
আবুল হোসেন নামে একজন বিক্রেতা জানালেন, ‘শীতের এই মৌসুমে সে প্রতিবছর পিঠার ব্যবসা করে । আয় ভালই হয়।’ শীতের এসব পিঠার সাথে পিঠা বিক্রেতারা বাড়তি হিসাবে সরিষার ভর্তা, ধনে পাতার ভর্তা ক্রেতাদের দিয়ে থাকেন। সান্তাহারের সবচেয়ে বড় পিঠার দোকান পৌওতা গ্রামের তনুর দোকান।৪/৫ জন কর্মচারী নিয়ে এই বিক্রেতা পিঠা ব্যবসা করে। এখানে প্রায় ৮/৯ রকম পিঠা পাওয়া যায়। বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এই দোকানে পিঠা বিক্রি হয়। এখানেও অনেক দুরের শহরের ক্রেতারা পিঠা খেতে আসেন।