Dhaka ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হতদরিদ্র শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ালেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার

  • শহিদুল আলম
  • Update Time : ০৫:৩৯:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ২২৫ Time View

সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার  মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী মেরিন একাডেমিতে ৩৫তম স্থান অধিকারী  শামীম কবির নিরব এক শিক্ষার্থীর ভর্তির দায়িত্ব নিয়েছেন । সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে শামীম ও তার মায়ের হাতে টাকা তুলে দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সজিব খান।সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সজিব খান বলেন, ‘মেধায় টিকেও মেরিন একাডেমিতে ভর্তিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল শহরের চা বিক্রেতার ছেলে শামীমের। ভর্তি হতে পারছে না শামীম এমন একটি সংবাদ জেলা পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে। অর্থের অভাবে এমন একজন মেধাবী ছাত্র ভর্তি হতে না পারার বিষয়টি দুঃখজনক।’তিনি বলেন, ‘সংবাদটি দেখার পর আমি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকীকে জানালে তিনি তার ভর্তির সব খরচ বহনের সিদ্ধান্ত নেন। রোববার দুপুরে শামীম এবং তার মায়ের হাতে এক লাখ ২০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:সাতক্ষীরায় ইটভাঙা মেশিন উল্টে কলেজছাত্র নিহত

এ ছাড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তার সব প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এসব মেধারীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। সম্মিলিতভাবে এগিয়ে এলে এসব ছাত্ররা অভাবের কারণে হারিয়ে যাবে না।’ ওরা বিকশিত হয়ে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন|এবং ভর্তির টাকা পেয়ে শামীম জানায়, ‘পুলিশ সুপার আমার ভর্তির টাকা দিয়েছেন। এজন্য ওনার ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতাজ্ঞতা জানাচ্ছি। সাতক্ষীরার এসপি আমার স্বপ্নপূরণ করলেন। তিনি যদি আমার ভর্তির টাকা না দিতেন তাহলে স্বপ্নের মেরিন একাডেমিতে হয়তো ভর্তি হতে পারতাম না।

আরো পড়ুন:সাতক্ষীরা ভোমরা স্থল বন্দরে ভারতীয় ট্রাকে চাঁদাবাজি

এ ছাড়া অনেক মানুষ আমার সহযোগিতা করতে চেয়েছেন সবাইকেধন্যবাদ জানাচ্ছি।’শিক্ষার্থীর মা আঞ্জুমান আরা বলেন, ‘ছেলের ভর্তির টাকা দিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের ছেলে মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশের সেবায় কাজ করতে পারে সবার কাছে সেই দোয়া চাচ্ছি।’তার পিতা সিদ্দিকুর রহমানও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।প্রসঙ্গত, মেধায় টিকেও টাকার জন্য মেরিন একাডেমিতে ভর্তি হতে পারছিল না শামীম কবির নিরব। অনিশ্চিয়তায় দিন কাটছিল তার। ভর্তি হতে তার প্রয়োজন ছিল এককালীন এক লাখের বেশি টাকা। কিন্তু পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। তাই ভর্তি নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় ছিল শামীমের পরিবার| এবং আরো জানা যায় শামীমকে সহযোগিতা করবে বলে আশা দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলার ব্যক্তিবর্গ অনেকেই|

One thought on “হতদরিদ্র শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ালেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

কালকিনিতে ৩ নারী ছিনতাইকারী আটক

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

হতদরিদ্র শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ালেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার

Update Time : ০৫:৩৯:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার  মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী মেরিন একাডেমিতে ৩৫তম স্থান অধিকারী  শামীম কবির নিরব এক শিক্ষার্থীর ভর্তির দায়িত্ব নিয়েছেন । সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে শামীম ও তার মায়ের হাতে টাকা তুলে দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সজিব খান।সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সজিব খান বলেন, ‘মেধায় টিকেও মেরিন একাডেমিতে ভর্তিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল শহরের চা বিক্রেতার ছেলে শামীমের। ভর্তি হতে পারছে না শামীম এমন একটি সংবাদ জেলা পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে। অর্থের অভাবে এমন একজন মেধাবী ছাত্র ভর্তি হতে না পারার বিষয়টি দুঃখজনক।’তিনি বলেন, ‘সংবাদটি দেখার পর আমি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকীকে জানালে তিনি তার ভর্তির সব খরচ বহনের সিদ্ধান্ত নেন। রোববার দুপুরে শামীম এবং তার মায়ের হাতে এক লাখ ২০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:সাতক্ষীরায় ইটভাঙা মেশিন উল্টে কলেজছাত্র নিহত

এ ছাড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তার সব প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এসব মেধারীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। সম্মিলিতভাবে এগিয়ে এলে এসব ছাত্ররা অভাবের কারণে হারিয়ে যাবে না।’ ওরা বিকশিত হয়ে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন|এবং ভর্তির টাকা পেয়ে শামীম জানায়, ‘পুলিশ সুপার আমার ভর্তির টাকা দিয়েছেন। এজন্য ওনার ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতাজ্ঞতা জানাচ্ছি। সাতক্ষীরার এসপি আমার স্বপ্নপূরণ করলেন। তিনি যদি আমার ভর্তির টাকা না দিতেন তাহলে স্বপ্নের মেরিন একাডেমিতে হয়তো ভর্তি হতে পারতাম না।

আরো পড়ুন:সাতক্ষীরা ভোমরা স্থল বন্দরে ভারতীয় ট্রাকে চাঁদাবাজি

এ ছাড়া অনেক মানুষ আমার সহযোগিতা করতে চেয়েছেন সবাইকেধন্যবাদ জানাচ্ছি।’শিক্ষার্থীর মা আঞ্জুমান আরা বলেন, ‘ছেলের ভর্তির টাকা দিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের ছেলে মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশের সেবায় কাজ করতে পারে সবার কাছে সেই দোয়া চাচ্ছি।’তার পিতা সিদ্দিকুর রহমানও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।প্রসঙ্গত, মেধায় টিকেও টাকার জন্য মেরিন একাডেমিতে ভর্তি হতে পারছিল না শামীম কবির নিরব। অনিশ্চিয়তায় দিন কাটছিল তার। ভর্তি হতে তার প্রয়োজন ছিল এককালীন এক লাখের বেশি টাকা। কিন্তু পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। তাই ভর্তি নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় ছিল শামীমের পরিবার| এবং আরো জানা যায় শামীমকে সহযোগিতা করবে বলে আশা দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলার ব্যক্তিবর্গ অনেকেই|