Dhaka ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যা দিবস। ২০০৯ সালের আজকের এই দিনে রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদরদপ্তরে সংঘটিত হয় নারকীয় হত্যাকাণ্ড। নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডের আজ ১৫ বছর পূর্ণ হলো। পিলখানা হত্যা দিবস উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আরো পড়ুন:ভাষা শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

পরবর্তীতে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিন বাহিনী প্রধানের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের পক্ষে জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর শহীদ পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়রা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আরো পড়ুন:প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৩ পণ্যের জিআই সনদ হস্তান্তর

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং কর্মরত সামরিক সদস্যরা স্যালুট প্রদান করেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এ সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, জেসিও এবং অন্যান্য পদবির সেনাসদস্য, শহীদ পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস বা বিডিআর (যা এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা সংক্ষেপে বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানায় বিপথগামী সৈনিকরা নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। ওই বছরের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিপথগামী কিছু বিডিআর সদস্য ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ছাড়াও নারী-শিশুসহ আরও ১৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

3 thoughts on “পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

পুলিশকে জনবান্ধব করতে সংস্কার করা হবে : পুলিশ সংস্কার কমিশন চেয়ারম্যান

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

Update Time : ১১:৪৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যা দিবস। ২০০৯ সালের আজকের এই দিনে রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদরদপ্তরে সংঘটিত হয় নারকীয় হত্যাকাণ্ড। নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডের আজ ১৫ বছর পূর্ণ হলো। পিলখানা হত্যা দিবস উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আরো পড়ুন:ভাষা শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

পরবর্তীতে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিন বাহিনী প্রধানের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের পক্ষে জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর শহীদ পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়রা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আরো পড়ুন:প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৩ পণ্যের জিআই সনদ হস্তান্তর

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং কর্মরত সামরিক সদস্যরা স্যালুট প্রদান করেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এ সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, জেসিও এবং অন্যান্য পদবির সেনাসদস্য, শহীদ পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস বা বিডিআর (যা এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা সংক্ষেপে বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানায় বিপথগামী সৈনিকরা নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। ওই বছরের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিপথগামী কিছু বিডিআর সদস্য ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ছাড়াও নারী-শিশুসহ আরও ১৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে।