‘অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিকের বিষয়ে আমি জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করি’ বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাম্প্রতিক সংকট নিয়ে জরুরি বৈঠকের পর এ মন্তব্য করেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা অতীতের কথা এখন টানবেন না। আমি এখন থেকে যা করব, সেখানে যদি দেখেন যে কিছু হচ্ছে না, তখন আমাকে জিজ্ঞেস করবেন। আগেও বলেছি এখনও বলছি, অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিকের বিষয়ে আমি জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করি। কাউকে ছাড় দেব না। যার যে যোগ্যতা সে সেখানেই কাজ করবে, এর বাইরে কিছু না।’
আরও পড়ুন:বিশ্বব্যাংকের এমডির সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠক
তিনি বলেন, ‘যত অবৈধ ক্লিনিক চলমান সব বন্ধ করা তো আমার পক্ষে সম্ভব না। এখানে সবার ভূমিকা লাগবে। এখানে সংসদ সদস্যদেরও কাজ করতে হবে। সবাই মিলে সামগ্রিকভাবে যদি অভিযান চালানো যায়, তাহলে এটা সম্ভব। আজ যশোর, দিনাজপুরে হঠাৎ করে একটা হাসপাতাল বন্ধ করে দিলে সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাবে। সবদিকেই আমাকে দেখতে হবে। আমরা সার্ভিস রাখব, তবে মানসম্পন্ন। খতনা করতে গিয়ে একটা শিশু মারা গেল, এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু আছে বলে আমি মনে করি না।’
হাইকোর্টে দেওয়া ১ হাজার ২৭টি অবৈধ ক্লিনিকের সবগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান বন্ধ করলে হবে না, সেটা মনিটর করতে হবে। বন্ধ করে দেওয়ার পর ভেতরে ভেতরে কাজ হচ্ছে কিনা এটাও দেখা জরুরি।’ তিনি বলেন, সঠিক ব্যবস্থাপনায় হাসপাতালগুলো পরিচালিত হচ্ছে কিনা– এ বিষয় তদারকি করতে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে অভিযান শুরু হবে। একইসঙ্গে হাসপাতাল ও চিকিৎসকের গাফিলতিতে কোনো শিশুর মৃত্যু হলে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হবে।
One thought on “‘অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করি’”