বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে তৃতীয় ‘ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টারিয়াল ফোরাম’-এর সাইডলাইনে ইউরোপিয়ান কমিশনার ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপস জুটা আরপিলাইনেন এবং ইউরোপিয়ান কমিশনার ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট জ্যানেজ লেনারসিচের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে মিলিত হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে ইইউর সহযোগিতা বৃদ্ধি ও জোরদার অংশীদারিত্বের মাধ্যমে একত্রে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন দুই ইউরোপীয় কমিশনার। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রবিষয়ক হাই-রিপ্রেজেন্টেটিভ জোসেপ বোরেল ফন্টেলেসের সঙ্গেও এ দিন ফলপ্রসূ মতবিনিময় করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, পর্তুগাল ও লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাঙ্কে ব্রুইনস স্লট, অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ, হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তো, পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জোয়াও গোমেস ক্রাভিনহো এবং লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েলিয়াস ল্যান্ডসবার্গিসের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তিনি।
আরও পড়ুন:স্যামসাংকে পেছনে ফেলল অ্যাপল
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলোতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়েছেন মন্ত্রী। এ ছাড়া লুক্সেমবার্গের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী জেভিয়ার বেটেল এবং স্লোভেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তানজা ফাজনের সঙ্গেও ফলপ্রসূ মতবিনিময় করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
2 thoughts on “বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার করতে চায় ইইউ”