পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ভোট শেষ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি)। ভোট গণনাও শেষ। অথচ এখন পর্যন্ত সব আসনের ফল ঘোষণা করতে পারেনি পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। অবশ্য নির্বাচন সফল হয়েছে দাবি করে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আইএসপিআরের এক বিবৃতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন, সব রাজনৈতিক দল এবং বিজয়ী সকল প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জেনারেল মুনির।
আরো পড়ুন:পাকিস্তানে ১২৫ আসনে এগিয়ে ইমরানের পিটিআই সমর্থিতরা
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের জনগণ তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সংবিধানে বর্ণিত গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের প্রতি নিজেদের অঙ্গীকার প্রদর্শন করেছেন। একইসঙ্গে হাজারো প্রতিকূলতার মধ্যেও ভোট গ্রহণের নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করার জন্য সর্বোচ্চ প্রশংসার দাবি রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। এছাড়াও জাতীয় গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, বেসামরিক প্রশাসন এবং বিচার বিভাগের সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত গঠনমূলক ভূমিকা নির্বাচন সফলে ভূমিকা রেখেছে। বিবৃতি আরও বলা হয়, নির্বাচন জয়-পরাজয়ের শূন্য-সমষ্টি নয় বরং জনগণের ম্যান্ডেট নির্ধারণের একটি মহড়া। রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং তাদের কর্মীদের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জনগণের শাসন ও সেবা করার প্রচেষ্টাকে একত্রিত করা উচিত যা গণতন্ত্রকে কার্যকরী ও উদ্দেশ্যমূলক করার একমাত্র উপায় হতে পারে।পাকিস্তানের জনগণ যেহেতু পাকিস্তানের সংবিধানের প্রতি তাদের সম্মিলিত আস্থা রেখেছে, এখন রাজনৈতিক পরিপক্বতা এবং ঐক্যের সঙ্গে এর প্রতিদান দেওয়া সব রাজনৈতিক দলের ওপর কর্তব্য।
আরো পড়ুন:পাকিস্তানে নির্বাচনে বোমা-বন্দুক হামলায় নিহত ৫
উল্লেখ্য, ২৬৫ আসনের মধ্যে ২৫২টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে ইতোমধ্যে। ঘোষিত ফলে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ে বেশ ভালো ব্যবধানে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের অধিকাংশই কারাবন্দি ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে ফলাফলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পিএমএল-এন ও পিপিপি। এই দুটি দলই জোট গঠনের বিষয়ে একমত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।