মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে ঘুমধুম সীমান্তের জলপাইতলীর বাসিন্দা হাসিনা বেগমসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহত হাসিনা বেগম (৫৫) একই এলাকার বাদশা মিয়ার স্ত্রী। নিহত অপরজন মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা বৃদ্ধা। তিনি ওই বাড়িতে কাজ করছিলেন। তার পরিচয় জানা যায়নি।
জানা গেছে, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাদশা মিয়ার ঘরে একটি মর্টারশেল এসে পড়ে। এ সময় ঘটনাস্থলেই রোহিঙ্গা শ্রমিক নিহত হন। অন্যদিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান বাদশা মিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগম।মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের জেরে এ পর্যন্ত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে।
আরো পড়ুন: চিলিতে ভয়াবহ দাবানলে নিহত বেড়ে ৯৯
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গত কয়েকদিন ধরে সংঘর্ষের জেরে ৪ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রথমে ১৪ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পরে কয়েক দফা মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর সদস্যরা তুমব্রু দিয়ে প্রবেশ করে এবং সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ পালিয়ে বাংলাদেশের তুমব্রু ক্যাম্পে আশ্রয় গ্রহণ করেছে।এদিকে সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সশস্ত্র বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের সংঘর্ষ বেড়েছে। দু’পক্ষের ছোড়া গুলি ও মর্টারশেল এসে পড়ছে বাংলাদেশের ভেতরে।
সীমান্তের এমন পরিস্থিতিতে ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে সাধারণ জনগণের চলাচল বন্ধ করার পাশাপাশি স্থানীয়দের নিরাপদে সরে যেতে নির্দেশনা দেয় স্থানীয় প্রশাসন।
সীমান্তের এমন পরিস্থিতিতে বিজিবির টহল জোরদার করার পাশাপাশি স্থানীয়দের নিরাপদে অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন।