সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান সম্ভাব্য প্রার্থী প্রায় ১২ জন ভোটের মাঠে আলোচনা রয়েছে,দলীয় প্রতীক না থাকায় প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে অনেক আওয়ামী লীগের পদধারী নেতারা। মধ্যনগর উপজেলার নির্বাচন চতুর্থ ধাপে সম্ভাব্য ২৫ মে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এতে উপজেলা নির্বাচনকে গীড়ে, আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে চলছে এখন প্রার্থী হওয়ার প্রতিযোগিতা। এখন প্রার্থী হলেও একসময় অনেকেই থাকছে কিনা, এনিয়ে এলাকার ভোটারদের মাঝে চলছে তুমুল গুঞ্জন। এরিমাঝে অনেক প্রার্থী আনাগোনাও করছে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে, এছাড়াও গ্রামে গ্রামে ভোট কেরি ও অবস্থান তৈরি করতে পথ সভা উঠান বৈঠক শুরু করতে দেখা গেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আমেজ এখনো শেষ হয়নি, এরিমধ্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের উৎসব শুরু হয়েছে, জমে উঠেছে নির্বাচনী আলোচনার ঝড়।আশা করা হচ্ছে আগামী মার্চের পর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে।
আরো পড়ুন: মধ্যনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
এদিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। হাট বাজারে চায়ের স্টল কিংবা গ্রামের দোকানগুলোতে এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের আড্ডার স্থলে সবার মুখে মুখে প্রাধান্য পাচ্ছে আগামী উপজেলা নির্বাচনের আলোচনা। কে কে হচ্ছেন প্রার্থী, কে হচ্ছেন নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলার প্রথম চেয়ারম্যান। এনিয়ে চলছে উৎসব মুখর আলোচনা। এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক না থাকার ফলে, আওয়ামী লীগের নেতারা নির্বাচনী এলাকায় দৌড় ঝাপ বেশি করতে দেখা গেছে। তাই নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে বর্তমানে ১ ডজন প্রার্থীর নাম শুনা যাচ্ছে।
এরমধ্যে এলাকার নির্বাচনী মাঠে প্রচারনা ও আলোচনায় রয়েছেন যারা, তারা হলেন,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন নূরী তালুকদার, সহ-সভাপতি প্রবীর বিজয় তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নূরুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার মো: আব্দুর রাজ্জাক,মধ্যনগর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ওয়াসিফ ইরতীজা আলভী,বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাসেল আহমদ,
লেখক ও প্রকাশক অসীম সরকার,শিক্ষক বরুণ কান্তি দাস গুপ্ত,
সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম মজনু সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাহিদ তালুকদার।উপজেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য সচিব মো: আলাউদ্দিন বলেন, ‘ নতুন উপজেলা হিসেবে আমাদের অনেক প্রত্যাশা আছে। এ উপজেলার জন্য একজন মেধাবী,সৃজনশীল ও জনবান্ধন চেয়ারম্যান প্রয়োজন। এমন একজন নেতা পরিচ্ছন্ন মানসিকতার ব্যাক্তি যিনি এই নতুন উপজেলাকে স্মার্ট উপজেলা হিসাবে গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখবেন।
উপজেলা আদিবাসী ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান অজিত হাজং বলেন,’ স্বচ্ছ নির্ভেজাল একজন প্রার্থীকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই। এবং যে ব্যক্তি উন্নয়ন নয় সামগ্রিকভাবে উপজেলার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাবেন।
আরো পড়ুন: ঢাকাস্থ মধ্যনগর কল্যাণ সমিতির সমন্বয় কমিটি গঠন
3 thoughts on “মধ্যনগর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ১২ জন”