একুশে বইমেলায় এলো তরুণ লেখক কলি বড়ালের প্রথম উপন্যাস ‘চিতা’। ভিন্নচোখ প্রকাশনী থেকে বের হওয়া বইটি পাওয়া যাচ্ছে ১৮৫ নম্বর স্টলে। দুটি সুখী পরিবারের জীবনগাঁথা অধ্যায়ের রোমাঞ্চ, প্রেম, সুখ, বিরহের সন্নিবেশ ‘চিতা’। পাঠক পড়া মাত্র বুঝতে পারবেন চিরচেনা নিজের ঘর সংসার। বহু প্রতিক্ষার পর এক জুটির শুভ পরিনয়, দাম্পত্য সুখ তলিয়ে যায় নিয়তির কালো আঁধারে। আট বছর বয়সী শিশুকন্যা ঘুণাক্ষরে টের পেল না কোন সমুদ্দুর টেনে নিয়ে যাচ্ছে ওর ভবিষ্যৎ। এমন ঘটনার ঘটঘটা ধরে এগিয়ে গেছে উপন্যাসটি। ১৯৯৪ সালে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার চরদুয়ানী গ্রামে এক সাংস্কৃতিকমনা পরিবারে জন্ম কলি বড়ালের। গান শেখার হাতে খড়ি মায়ের কাছে।মায়ের ইচ্ছে ছিলো মেয়ে গান করুক। কিন্তু মেয়ে হলো লেখক। আবৃত্তি এবং ছবি আঁকায়ওপ্রচুর আগ্রহ কলির। ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিষয় নিয়ে স্নাতকোত্তর (এম বি এ) শেষ করে বর্তমানে তিঁনি শিক্ষকতা পেশায় আছেন।
আরো পড়ুন:১১১টি কবিতা নিয়ে ননীগোপালের ‘স্পর্শহীন হাতের ছোঁয়া’ বইমেলায়
লেখক বলেন, বই পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করেছেন তাঁর বাবা । ছোট বেলায় বাবার বইয়ের আলমারির তাকের বইগুলোর প্রতি প্রগাঢ় নেশা তৈরি হয়। মাত্র তেরো বছর বয়সে বাবা বিয়োগের পর অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে জীবনের এই পর্যায় এসে নিজের সবচেয়ে ভালোলাগা ভালোবাসার কাজে লেখালেখিতে সুখ খুঁজছেন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘জলনীলী’ প্রকাশিত হয়েছিলো ২০২৩ সালের অমর একুশে বইমেলায়। জলনীলীতে মানুষের জীবনে বিভিন্ন সময়ের উত্থান পতনকে নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছেন। লেখকের লেখনি থেকে চিন্তা ভাবনারা বাস্তবতার রস চুঁইয়ে চুঁইয়ে নিভৃতে কথামালায় রূপ নিয়েছে কবিতাগুলোতে৷ কখনো অভিজ্ঞতা, কখনো বাস্তবতাকে পুঁজি করে ছন্দ রসে নৈবেদ্য সাজিয়েছি। গত বছর জলনীলীতে প্রচুর সারা পেয়েছিলেন। সেই উৎসাহ থেকেই নতুন উপন্যাস চিতার জন্ম।
আরো পড়ুন:নিয়মিত স্ট্রেস থেকে মুক্তি দেবে এই পাতা
কলি বড়াল নিয়মিত বিভিন্ন পত্রিকায় লেখেন গল্প, কবিতা এবং শিশু সাহিত্য নিয়ে। এ বছরের মাঝামাঝি দেশি-বিদেশি পাঠকদের জন্য নতুন চমক নিয়ে আসছেন তিনি।
3 thoughts on “বইমেলায় কলি বড়ালের ‘চিতা’”