Dhaka ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্মৃতিশক্তি বাড়াবে ছোট্ট এই ফলের তৈরি দুধ

দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর পানীয়। বড় থেকে ছোট সবার জন্যই এ পানীয়টি অনেক উপকারী। হাড় মজবুত থেকে স্মৃতিশক্তি, সব জায়গায় প্রাধান্য রয়েছে দুধের। শিশুদের খাবারের তালিকায় এটি না রাখলে বহু পুষ্টিগুণ বাদ থেকে যায়। তবে শুধু গরুর দুধই নয়। পুষ্টিকর হতে পারে ফলের দুধও। শুনতে অবাক লাগলেও এমন একটি ফল রয়েছে যার দুধ খেলে বহু রোগ থেকে নিজেকে দূরে রাখা যাবে। শুধু তাই নয় শিশুদের সঠিক পুষ্টি জোগাবে এই অসাধারণ ফলের দুধ। স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধি বাড়াতে এর কোনও তুলনাই নেই। এই দুধ ওমেগা -৩ফ্যাটি অ্যাসিড-যুক্ত, পাশাপাশি এতে রয়েছে ভিটামিন ই এবং খনিজ। ভিটামিন ই একটি অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে। যার কারণে বৃদ্ধ বয়সেও ত্বক তরুণ থাকে। একই সঙ্গে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাসের মতো খনিজ হাড় ও দাঁত সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এই ফল।

আরও পড়ুন:সহজেই বানিয়ে নিন চিকেন-৬৫

জেনে নিন কীভাবে এই বিশেষ দুধ তৈরি করবেন-

এই দুধ যে ফল দিয়ে তৈরি হয়েছে তা হলো আখরোট। এটি একটি অত্যন্ত উপকারী ফল। এই ফল মস্তিষ্কের পুষ্টি জোগাতে অত্যন্ত সাহায্য করে। এ ছাড়াও বেশ কিছু উপকারী গুণ রয়েছে এই ফলের। আখরোটের দুধ তৈরি করতে আখরোট সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবার ভিজানো আমন্ড ব্লেন্ডারে ভালো করে পিষে নিতে হবে। আমন্ড পিষে নেওয়ার পরে, প্রয়োজন মতো এতে এক থেকে দুই কাপ পানি যোগ করতে হবে। এবার এটি আবার ২ মিনিটের জন্য মিশ্রিত করতে হবে। ব্যাস তৈরি হয়ে যাবে আমন্ডের দুধ। এবার এই দুধ ভালো করে ছেঁকে নিতে হবে।

আখরোটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। যা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ও স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। আখরোটে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এক মুঠো আখরোট খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে, যার ফলে ঘন ঘন খিদে পায় না। এই দুধ ওজন কমানোতেও ভীষণ সাহায্য করে। আখরোটে ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা হাড় সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি পেশীগুলোকেও শিথিল করে। আখরোটে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে, যা মস্তিষ্ককে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখে। এটি মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়, স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করে, মনোযোগ বাড়ায়।

One thought on “স্মৃতিশক্তি বাড়াবে ছোট্ট এই ফলের তৈরি দুধ

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

পুলিশকে জনবান্ধব করতে সংস্কার করা হবে : পুলিশ সংস্কার কমিশন চেয়ারম্যান

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

স্মৃতিশক্তি বাড়াবে ছোট্ট এই ফলের তৈরি দুধ

Update Time : ০৩:৫৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪

দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর পানীয়। বড় থেকে ছোট সবার জন্যই এ পানীয়টি অনেক উপকারী। হাড় মজবুত থেকে স্মৃতিশক্তি, সব জায়গায় প্রাধান্য রয়েছে দুধের। শিশুদের খাবারের তালিকায় এটি না রাখলে বহু পুষ্টিগুণ বাদ থেকে যায়। তবে শুধু গরুর দুধই নয়। পুষ্টিকর হতে পারে ফলের দুধও। শুনতে অবাক লাগলেও এমন একটি ফল রয়েছে যার দুধ খেলে বহু রোগ থেকে নিজেকে দূরে রাখা যাবে। শুধু তাই নয় শিশুদের সঠিক পুষ্টি জোগাবে এই অসাধারণ ফলের দুধ। স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধি বাড়াতে এর কোনও তুলনাই নেই। এই দুধ ওমেগা -৩ফ্যাটি অ্যাসিড-যুক্ত, পাশাপাশি এতে রয়েছে ভিটামিন ই এবং খনিজ। ভিটামিন ই একটি অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে। যার কারণে বৃদ্ধ বয়সেও ত্বক তরুণ থাকে। একই সঙ্গে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাসের মতো খনিজ হাড় ও দাঁত সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এই ফল।

আরও পড়ুন:সহজেই বানিয়ে নিন চিকেন-৬৫

জেনে নিন কীভাবে এই বিশেষ দুধ তৈরি করবেন-

এই দুধ যে ফল দিয়ে তৈরি হয়েছে তা হলো আখরোট। এটি একটি অত্যন্ত উপকারী ফল। এই ফল মস্তিষ্কের পুষ্টি জোগাতে অত্যন্ত সাহায্য করে। এ ছাড়াও বেশ কিছু উপকারী গুণ রয়েছে এই ফলের। আখরোটের দুধ তৈরি করতে আখরোট সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবার ভিজানো আমন্ড ব্লেন্ডারে ভালো করে পিষে নিতে হবে। আমন্ড পিষে নেওয়ার পরে, প্রয়োজন মতো এতে এক থেকে দুই কাপ পানি যোগ করতে হবে। এবার এটি আবার ২ মিনিটের জন্য মিশ্রিত করতে হবে। ব্যাস তৈরি হয়ে যাবে আমন্ডের দুধ। এবার এই দুধ ভালো করে ছেঁকে নিতে হবে।

আখরোটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। যা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ও স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। আখরোটে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এক মুঠো আখরোট খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে, যার ফলে ঘন ঘন খিদে পায় না। এই দুধ ওজন কমানোতেও ভীষণ সাহায্য করে। আখরোটে ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা হাড় সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি পেশীগুলোকেও শিথিল করে। আখরোটে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে, যা মস্তিষ্ককে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখে। এটি মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়, স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করে, মনোযোগ বাড়ায়।