গতকাল ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ, ৩০ মাঘ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার বিকাল ০৩:০০ ঘটিকায় বাংলাদেশ কৃষি ইনস্টিটিউট, খুলনা জেলা শাখার আয়োজনে খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে কৃষিবিদ দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত র্যালি ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা মহোদয় উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত র্যালি শেষে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ইতিহাসের মহানয়ক ও স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান স্থপতি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা শুরু হয়। আলোচনা সভার প্রধান অতিথি হিসেবে কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মহোদয় উপস্থিত সকলকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, “এই দেশটি এক সময় পরাধীন ছিল এবং এই দেশটির কৃষি, লাইভস্টক ও মৎস্য উপাখ্যান খুঁজি তাহলে আমরা দেখতে পাই গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু, পুকুর ভরা মাছ ছিল। তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আমরা বলতে পারি কৃষি বাংলাদেশের একটি মাত্র সেক্টর যে সেক্টর এই জাতিকে কখনো পিছিয়ে পড়তে দেয়নি। বর্তমানে কৃষি উৎপাদনে বিপ্লব সূচিত হয়েছে। আগে একটা সময় ছিল যখন মানুষ পেট ভরে ভাত খেতে পারত না, আর এখন বর্তমানে বাংলাদেশের এমন কোন অঞ্চল নেই যেখানে মানুষ তিন বেলা পেট ভরে ভাত খেতে পারে না। সাধু পানির মাছ উৎপাদনে ও অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। মাছ উৎপাদনে বিশ্বে আমরা এখন তৃতীয় অবস্থানে রয়েছি। জাতির জনকের কন্যা পাঁচবারের সফল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আজ অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি এমন কোন সেক্টর নাই যে সেক্টরে এদেশে উন্নয়ন হয়নি। তাঁর নেতৃত্বে কৃষি খাতে অভূতপূর্ব গণজাগরণ সৃষ্টি করেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও কৃষিবিদদের সত্যিকার অর্থে সম্মানিত করেছিলেন যার ফলে মেধাবী ছাত্ররা কৃষিখাতে আসার পরে উন্নয়ন হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পরে বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফসহ বিভিন্ন সংস্থা কৃষি ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেওয়া যাবে না বললেও তিনি কিন্তু বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কৃষকদের করে ধান উৎপাদনে সার, বীজ এবং জ্বালানি তেল একটি বিপুল পরিমাণ টাকা তাদের হাতে পৌঁছে দিয়েছে। প্রতি কেজি ধান উৎপাদনে প্রতি কেজি ধান উৎপাদনে ১২০০ থেকে ১৩০০ লিটার পানি ব্যবহার করতে হয়। ভূগর্ভস্থ পানির দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। বৃষ্টির পরিমাণটাও বৈশ্বিক কারণে ক্রমাগত কমে যাচ্ছে। কাজেই আমাদের আরো খরা সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন করতে হবে। আরো কম পরিমাণ পানি ব্যবহার করে কৃষিকে বাঁচিয়ে রাখতে পারি সে বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। আমাদের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের বড় সমস্যা লবণাক্ত আমরা কৃষিতে এ অঞ্চলে উন্নয়ন করতে পারছি না। লবণাক্ত মাছ ছাড়া উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য এ অঞ্চলের কৃষিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিজ্ঞানীরা লবণাক্ত সহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবন করবেন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।”
কৃষিবিদ দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় কেআইবি খুলনা জেলা ও প্রাক্তন উপ-পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল লতিফ সভাপতিত্ব করেন। এ সময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার কৃষিবিদবৃন্দ-সহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন: ১১ মামলায় খালেদা জিয়ার হাজিরা ২২ এপ্রিল
https://youtu.be/-jLSNt4ElJQ?si=Mn-eAAaCVrSFDF9Q