আড়তে ডিম সরবরাহ শুরু হলেও দাম আসেনী ভোক্তার নাগালে। সরকারী সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাংগুলী দেখিয়ে বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে।প্রতি ডজনে বাড়তি দাম গুনতে হচ্ছে অন্তত ২০ থেকে ৩০ টাকা।ক্রেতাদের অভিযোগ এখনো চড়া পাইকারী দাম।গতকাল খুলনায়,খালিশপুর, দৌলতপুর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।কিছুদিন ধরে ডিমের বাজারে চলা অস্থিরতার লাগাম টানতে গত মঙ্গলবার দাম বেধে দেয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সে অনুযায়ী খুচরা বাজারে ডিম মেলার কথা প্রতি ডজন ১৪০ থেকে ১৪২ টাকায়।কিন্তু সে নির্দেশনা মানছে না বিক্রেতারা।স্থানীয় খালিশপুরের বাসিন্দা মো: রাজু ও দোকানদার মেহেদী হাসান জানান,খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিচ ডিম ছোট মাঝারি ১৪.৫০ ও বড় সাইজ ১৫.৫০ টাকায় বিক্রি করছেন।ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ সংস্থার নির্ধারিত মুল্যে ডিম বিক্রি না করে বেশি দামে ডিম বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ডিম চড়া মুল্যে কেনা।এদিকে দৌলতপুর বাজারের খুচরা ব্যাবসায়ী ইমাম হোসেন দিগন্ত প্রতিবেদককে বলেন, তিনি বড় সাইজের ডিম ১৫.৫০ থেকে ১৬ টাকা বিক্রি করছেন। এ বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী মো: হোসেন আলী জানান, তিনি বড় সাইজের একটি ডিম ১২.৮০ টাকা বিক্রি করছেন। মাঝারি ডিম ১২.৫০ টাকা বিক্রি করছেন। ছোট ডিম ১২ টাকায় বিক্রি করছেন। ডিমের দাম বাড়তির কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন এখনো বেশি দাম দিয়ে ডিম কিনতে হচ্ছে।যার দরুন বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।তবে সরকারের বেধে দেওয়া দাম বাজারে এখনো পরিলক্ষিত হচ্ছে না।তিনি বলেন, পাইকারীতে কিনতে হচ্ছে ১৫৫ টাকায় এর পর পরিবহন ও লেবার খরচ রয়েছে। খুলনায় কালি বাড়ি বড়বাজার ঘুরে দেখা যায় দোকানীরা পাইকারি প্রতি পিচ ডিম বিক্রি করছেন বড় সাইজের ১৪ টাকা।আর মাঝারি ১৩.৫০ টাকা,ছোট সাইজ ১৩ টাকা। কালিবাড়ি বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী লোকমান হোসেন বলেন, ডিমের সরবরাহ কম ছিল,এর জন্য বাজারে বাড়তি দাম।তবে কয়েকদিনের মধ্যে দাম কমতে পারে বলে তিনি জানান। ডিমবাড়তি দামে বিক্রি করছেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখন যেমন কিনি তখন তেমন দামে বিক্রি করতে হয় আমাদের। আগের দামে ডিম বিক্রি করছেন বলে জানান তিনি। এদিকে মানা হচ্ছে না উৎপাদক পর্যায়ে ১০.৫৮ পয়সা,পাইকারি পর্যায়ে ১১.১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১১.৮৭ পয়সা সরকার নির্ধারিত দাম।বাজারের বিক্রেতারা জানান, আড়ত থেকে এখনো পর্যন্ত পর্যাপ্ত ডিম পাওয়া যাচ্ছে না।যাও মিলছে তাও সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি মুল্যে।খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি ডজন ডিম মাঝারি ১৭৪ টাকা, বড় ডিম বিক্রি ১৮৬ টাকা ডজন।পাইকারি পর্যায়ে বাড়তি দামে কেনায় খুচরা ও বিক্রি হচ্ছে বর্তমানে বেশি দামে। বড় বড় কোম্পানী গুলোর কারনেই ডিমের বাজারে এ নৈরাজ্য বলে অভিযোগ বিক্রেতাদের।কেউ কেউ খাদ্য ও ওষুধের মুল্য বাড়তিকে দায়ী করেন।কেউ কেউ বলছেন, বর্তমানে বাজারে সবজি, মাছ মাংস,মুরগীর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নিন্ম ও মধ্যবিত্ত সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে দাম চলে যাওয়ায় মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় কাচা বাজার কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।আর এ কারনে নিন্ম ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের কোন রকম খেয়ে বেচে থাকার একমাত্র অবলম্বন তারা ডিমকে বেছে নিয়েছে। আর এই সুযোগে ডিমের কোম্পানী গুলো, মধ্যসত্তা ভোগী ও পাইকারী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৈরী করেছে ডিমের বাজারে।আর এ কারনে অস্থির ডিমের বাজার।দিন যাচ্ছে দাম মানুষের নাগালের বাহিরে চলে যাচ্ছে। তারা সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন।আর এ অবস্থা বেশি দিন চলতে থাকলে নিন্ম ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের ডিম না খেয়ে থাকতে হবে। খুলনা,খালিশপুর ও দৌলতপুর বাজারের একাধিক খুচরা ক্রেতারা জানান,সরকারের ভোক্তা পর্যায় থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হলে ভোক্তা পর্যায়ে এর সুফল পাওয়া যাবে না।এ জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর দাবী জানান।এদিকে ডিমের দাম বেশি হওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নী।
খুলনায়, খালিশপুর ও দৌলতপুরে ডিম মিলছে না সরকারের বেধে দেওয়া দামে
- মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা:
- Update Time : ০৯:৪৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
- ৫১ Time View
আপডেট সংবাদ