Dhaka ০২:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাকরাইল মসজিদ নিয়ে আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন জুবায়েরপন্থিরা

  • সুমন খান
  • Update Time : ০৭:৩৮:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
  • ৩৪ Time View
কাকরাইল মসজিদ ও বিশ্ব ইজতেমা একক নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা থেকে অবশেষে সরে এসেছেন তাবলিগের জুবায়েরপন্থিরা।আগের নিয়ম মেনে নিয়ে বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারাবধবার রাতে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ‘কাকরাইল মসজিদ ও তাবলিগ বিষয়ে জরুরি বিবৃতি’তে এ তথ্য জানানো হয়।
মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ প্রেরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল (১২ নভেম্বর) বর্তমান সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের নেতাদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, ধর্ম উপদেষ্টার পক্ষ থেকে যৌথভাবে আগামী ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে তাবলিগের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়
ফলে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত কাকরাইল মসজিদে অবস্থানের বিষয়ে পূর্বের নিয়ম মেনে নিয়ে বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা করার ব্যাপারে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ ও  কাকরাইলের পক্ষ থেকে সবাই একমত পোষণ করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দিল্লির মাওলানা সাদ সাহেব বাংলাদেশে আসবেন না মর্মে সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত জানানো হয়। শুরায়ী নেজামের বিশ্ব ইজতেমা আগামী ৩১ জানুয়ারী, ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের পক্ষে সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ।
উল্লেখ্য, তাবলিগ-জামাতের বিবাদমান দ্বন্দ্বের পর থেকে বিগত ৭ বছর যাবত প্রশাসনের সিদ্ধান্তে কাকরাইল মসজিদে অবস্থানের ক্ষেত্রে জুবায়েরপন্থিরা ৪ সপ্তাহ ও সাদপন্থিরা দুই সপ্তাহ করে পর্যায়ক্রমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। বিগত সরকারের এমন বৈষম্যপূর্ণ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে আসছিল সাদপন্থিরা।
গত ৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জুবায়েরপন্থিদের সমর্থক ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের মহাসম্মেলন থেকে কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার ময়দানের যাবতীয় কার্যক্রম ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে করাসহ ৯ দফা দাবি জানানো হয়। ১৫ নভেম্বর কাকরাইল মসজিদ থেকে না সরার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গীর ইজতেমা কেন্দ্রিক সাদপন্থিদের কোনোরকম সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করা হলে ২৪ ঘণ্টার নোটিশে রাজধানী ঢাকা অচল করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
বুধবার পালটা সংবাদ সম্মেলনে সাদপন্থিরা জানান, কাকরাইল মসজিদের একটি অংশে এমনিতেই জুবায়েরপন্থিরা সারা বছর মাদরাসার নামে আলাদা অবস্থান নিয়ে থাকেন। কিন্তু হেফাজতপন্থি আলেমদের সাম্প্রতিক ঘোষণার প্রেক্ষাপটে জুবায়েরপন্থিরা সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে কাকরাইল মসজিদ স্থায়ীভাবে দখল নেওয়ার ঘোষণা দেওয়াকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়ার আশঙ্কা করছি।
সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে উভয় পক্ষের দ্বন্দ্ব নিরসন দরকার। এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করে পূর্বের মতো কাকরাইল মসজিদ, বিশ্ব ইজতেমা ও সারাদেশে আলাদা আলাদা কার্যক্রম পরিচালনা করলে সংঘাত হবে না।
এছাড়া কাকরাইল মার্কাজ (তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়) সম্পূর্ণভাবে নিজামুদ্দীনের অনুসারীদের হাতে বুঝিয়ে দেওয়াসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছেন মাওলানা সা’দের অনুসারীরা।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারের শীর্ষ ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় ড. ইউনূস

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

কাকরাইল মসজিদ নিয়ে আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন জুবায়েরপন্থিরা

Update Time : ০৭:৩৮:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
কাকরাইল মসজিদ ও বিশ্ব ইজতেমা একক নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা থেকে অবশেষে সরে এসেছেন তাবলিগের জুবায়েরপন্থিরা।আগের নিয়ম মেনে নিয়ে বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারাবধবার রাতে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ‘কাকরাইল মসজিদ ও তাবলিগ বিষয়ে জরুরি বিবৃতি’তে এ তথ্য জানানো হয়।
মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ প্রেরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল (১২ নভেম্বর) বর্তমান সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের নেতাদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, ধর্ম উপদেষ্টার পক্ষ থেকে যৌথভাবে আগামী ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে তাবলিগের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়
ফলে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত কাকরাইল মসজিদে অবস্থানের বিষয়ে পূর্বের নিয়ম মেনে নিয়ে বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা করার ব্যাপারে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ ও  কাকরাইলের পক্ষ থেকে সবাই একমত পোষণ করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দিল্লির মাওলানা সাদ সাহেব বাংলাদেশে আসবেন না মর্মে সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত জানানো হয়। শুরায়ী নেজামের বিশ্ব ইজতেমা আগামী ৩১ জানুয়ারী, ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের পক্ষে সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ।
উল্লেখ্য, তাবলিগ-জামাতের বিবাদমান দ্বন্দ্বের পর থেকে বিগত ৭ বছর যাবত প্রশাসনের সিদ্ধান্তে কাকরাইল মসজিদে অবস্থানের ক্ষেত্রে জুবায়েরপন্থিরা ৪ সপ্তাহ ও সাদপন্থিরা দুই সপ্তাহ করে পর্যায়ক্রমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। বিগত সরকারের এমন বৈষম্যপূর্ণ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে আসছিল সাদপন্থিরা।
গত ৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জুবায়েরপন্থিদের সমর্থক ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের মহাসম্মেলন থেকে কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার ময়দানের যাবতীয় কার্যক্রম ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে করাসহ ৯ দফা দাবি জানানো হয়। ১৫ নভেম্বর কাকরাইল মসজিদ থেকে না সরার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গীর ইজতেমা কেন্দ্রিক সাদপন্থিদের কোনোরকম সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করা হলে ২৪ ঘণ্টার নোটিশে রাজধানী ঢাকা অচল করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
বুধবার পালটা সংবাদ সম্মেলনে সাদপন্থিরা জানান, কাকরাইল মসজিদের একটি অংশে এমনিতেই জুবায়েরপন্থিরা সারা বছর মাদরাসার নামে আলাদা অবস্থান নিয়ে থাকেন। কিন্তু হেফাজতপন্থি আলেমদের সাম্প্রতিক ঘোষণার প্রেক্ষাপটে জুবায়েরপন্থিরা সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে কাকরাইল মসজিদ স্থায়ীভাবে দখল নেওয়ার ঘোষণা দেওয়াকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়ার আশঙ্কা করছি।
সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে উভয় পক্ষের দ্বন্দ্ব নিরসন দরকার। এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করে পূর্বের মতো কাকরাইল মসজিদ, বিশ্ব ইজতেমা ও সারাদেশে আলাদা আলাদা কার্যক্রম পরিচালনা করলে সংঘাত হবে না।
এছাড়া কাকরাইল মার্কাজ (তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়) সম্পূর্ণভাবে নিজামুদ্দীনের অনুসারীদের হাতে বুঝিয়ে দেওয়াসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছেন মাওলানা সা’দের অনুসারীরা।