Dhaka ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উত্তর রাখাইনে সেনা প্রত্যাহার করছে জান্তা, দাবি আরাকান আর্মির

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চল থেকে সেনাদের প্রত্যাহার করে নিচ্ছে জান্তা সরকার। একই সঙ্গে রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে বেসামরিক জনগণের ওপর হামলা জোরদার করছে তারা। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের সর্বপশ্চিমের এই রাজ্য হারাতে চলেছে বুঝতে পেরে তারা এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এসব কথা বলেছে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। খবর দ্য ইরাবতীর। দ্য ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার রাখাইনের মিয়েবন শহরে দুটি তল্লাশিচৌকি থেকে সেনাদের হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়ার পর আরাকান আর্মি এ বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপত্তার জন্য এসব সেনাকে দক্ষিণে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আরাকান আর্মির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জান্তার সেনাবাহিনী নিশ্চিত হয়ে গেছে যে আমাদের প্রতিরোধ করতে গেলে তারা পরাজিত হবে। সে কারণে আমরা যেসব শহর দখলের লক্ষ্য নিচ্ছি, সেগুলোর তল্লাশিচৌকি ও ঘাঁটি পুড়িয়ে সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে তারা।

আরো পড়ুন:ষড়যন্ত্রকারীদের চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে গেছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আরাকান আর্মি বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, গতকাল (রোববার) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মিয়েবন শহরের ৪০২ ও ৪০৮ তল্লাশিচৌকির ভেতরে তাঁদের মজুত অস্ত্র ও গোলাবারুদ ধ্বংস করেন জান্তা সেনারা। তল্লাশিচৌকির যেসব অস্ত্র নিয়ে যাওয়া সম্ভব, সেগুলো নিয়ে গেছে। দুটি তল্লাশিচৌকির সেনাদের হেলিকপ্টারে রাখাইনের উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের অ্যান শহরে জান্তার পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। এই দুই ঘাঁটি থেকে চার দফায় সেনাদের সরিয়ে নিয়েছে জান্তা বাহিনী এমনটাই দাবি করেছে আরাকান আর্মি।

আরো পড়ুন:ঢাকায় আসছেন মার্কিন উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জানা গেছে, জান্তা সেনারা দক্ষিণ রাখাইনের রামরিতে অনবরত বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছেন। আকাশ, নৌ ও স্থলপথে শহরটিতে হামলা চালানো হচ্ছে। শনিবার বিমান হামলা ও গোলার আঘাতে চার নম্বর কিং তাই ওয়ার্ডের অন্তত ১৫০টি ঘর পুড়ে গেছে। থেইম তং প্যাগোডা হিল থেকে রোববারও রামরি শহরে কামানের গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে।

One thought on “উত্তর রাখাইনে সেনা প্রত্যাহার করছে জান্তা, দাবি আরাকান আর্মির

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

ফিরতে ইচ্ছুক লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের নথিভুক্ত হতে হবে

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

উত্তর রাখাইনে সেনা প্রত্যাহার করছে জান্তা, দাবি আরাকান আর্মির

Update Time : ০৩:২৭:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চল থেকে সেনাদের প্রত্যাহার করে নিচ্ছে জান্তা সরকার। একই সঙ্গে রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে বেসামরিক জনগণের ওপর হামলা জোরদার করছে তারা। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের সর্বপশ্চিমের এই রাজ্য হারাতে চলেছে বুঝতে পেরে তারা এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এসব কথা বলেছে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। খবর দ্য ইরাবতীর। দ্য ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার রাখাইনের মিয়েবন শহরে দুটি তল্লাশিচৌকি থেকে সেনাদের হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়ার পর আরাকান আর্মি এ বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপত্তার জন্য এসব সেনাকে দক্ষিণে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আরাকান আর্মির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জান্তার সেনাবাহিনী নিশ্চিত হয়ে গেছে যে আমাদের প্রতিরোধ করতে গেলে তারা পরাজিত হবে। সে কারণে আমরা যেসব শহর দখলের লক্ষ্য নিচ্ছি, সেগুলোর তল্লাশিচৌকি ও ঘাঁটি পুড়িয়ে সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে তারা।

আরো পড়ুন:ষড়যন্ত্রকারীদের চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে গেছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আরাকান আর্মি বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, গতকাল (রোববার) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মিয়েবন শহরের ৪০২ ও ৪০৮ তল্লাশিচৌকির ভেতরে তাঁদের মজুত অস্ত্র ও গোলাবারুদ ধ্বংস করেন জান্তা সেনারা। তল্লাশিচৌকির যেসব অস্ত্র নিয়ে যাওয়া সম্ভব, সেগুলো নিয়ে গেছে। দুটি তল্লাশিচৌকির সেনাদের হেলিকপ্টারে রাখাইনের উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের অ্যান শহরে জান্তার পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। এই দুই ঘাঁটি থেকে চার দফায় সেনাদের সরিয়ে নিয়েছে জান্তা বাহিনী এমনটাই দাবি করেছে আরাকান আর্মি।

আরো পড়ুন:ঢাকায় আসছেন মার্কিন উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জানা গেছে, জান্তা সেনারা দক্ষিণ রাখাইনের রামরিতে অনবরত বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছেন। আকাশ, নৌ ও স্থলপথে শহরটিতে হামলা চালানো হচ্ছে। শনিবার বিমান হামলা ও গোলার আঘাতে চার নম্বর কিং তাই ওয়ার্ডের অন্তত ১৫০টি ঘর পুড়ে গেছে। থেইম তং প্যাগোডা হিল থেকে রোববারও রামরি শহরে কামানের গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে।