রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে লাগা আগুনে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দগ্ধ আরও বেশ কয়েকজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। ভয়াবহ এ আগুনের খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। এরপর প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ এর দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি ৬ তলা ভবনের আগুনে অন্তত ৪৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। রয়টার্স আরও বলেছে, একটি জনপ্রিয় বিরিয়ানির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় যা পরে ভবনের অন্যান্য ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে।
আরো পড়ুন:রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুন
প্রায় একই ধরনের খবর দিয়েছে বিবিসি। ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি লিখেছে, কাচ্চি ভাই নামের একটি রেস্টুরেন্ট থেকে ফায়ার সার্ভিসকে আগুনের খবর দেওয়া হয়। ওই ভবনে আরও রেস্টুরেন্ট ছিল। বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের বক্তব্য উদ্ধৃত করে বিবিসি আরও লিখেছে, ভবনটি ছিল বিপজ্জনক। প্রতিটি ফ্লোরেই গ্যাসের সিলিন্ডার ছিল। এমনকি সিঁড়িতেও ছিল। আগুনের এ খবর দিয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট লিখেছে, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে বহু নতুন ভবন গড়ে উঠেছে। এগুলোর অধিকাংশেই যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। ত্রুটিযুক্ত গ্যাসের লাইন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র এবং নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সংযোগ থেকে ঘটছে এসব অগ্নিকাণ্ড এবং বিস্ফোরণের ঘটনা।
আরো পড়ুন:বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
অন্যদিকে জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে লিখেছে, নিরাপত্তার অভাবে কারখানা এবং বাসভবনে আগুনের ঘটনা বাংলাদেশে নিয়মিত এবং কুখ্যাত হয়ে উঠেছে। আগুনের সূত্রপাত এবং হতাহতের একই ধরনের খবর দিয়েছে স্কাই নিউজ, নিউইয়র্ক টাইমস, দ্য গার্ডিয়ান, সিবিএস নিউজ, ডেকান হেরাল্ড, এনডিটিভি এবং টাইমস অব ইন্ডিয়া। সবগুলো গণমাধ্যমই হতাহতের বর্ণনা দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এবং ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের বরাতে।