পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে কারাগার থেকেই নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এতে বলা হয়, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং অন্যান্য বিশিষ্ট রাজনৈতিক বন্দিরা আদিয়ালা জেল থেকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোট দিয়েছেন। ডাকযোগে যারা ভোট দিতে পেরেছেন তাদের মধ্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি, পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী পারভেজ এলাহি, আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রধান শেখ রশিদ এবং সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীও রয়েছেন। তবে ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি ভোটে অংশ নিতে পারেননি। কারণ, পোস্টাল ভোটিং প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে তাকে দোষী সাব্যস্ত এবং গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। যা একটানা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এদিকে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, সহিংসতা এবং কারচুপির অভিযোগের মধ্যেই নতুন সরকার গঠন করতে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের কোটি কোটি নাগরিক ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রায় দুই বছর পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাচ্যুত করার পর ইমরান খানকে দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে পাঠানো হয় ও তাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধাও দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে নির্বাচনের লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
আরো পড়ুন:কেএমপি’র মাদক বিরোধী অভিযানে মাদকসহ ১৬ জন গেফতার
নির্বাচনে লড়াইয়ে এগিয়ে আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম ফজলের (জেইউআই-এফ) নির্দিষ্ট ভোটব্যাংক রয়েছে। করাচিতে জামায়াতে ইসলামির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। তবে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টি থেকে প্রার্থী বাছাই করা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে, কারণ দলটির ক্রিকেট ব্যাট প্রতীক ব্যবহার করা নিষিদ্ধ হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনে প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ ভোটার তাদের ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন।