আজকের দিনটি চলে গেলে আবার ফিরে আসবে চার বছর পর। আর এ জন্যই আজকের দিনটিকে স্মরণীয় করতে অনেকেই বিশেষ কোনো কাজ করার কথা ভেবে রাখেন। আর সে চিন্তা ভাবনা থেকেই কেউ বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন কেউবা প্রোপজ করেন, অনেকেই আবার কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে ডিনারে যাওয়া বা অন্যান্য ইত্যাদি কাজ করেন। তবে জানেন কি আজ কিন্তু আরও একটি বিশেষ কাজের দিন, আপনি যদি নারী হয়ে থাকেন তাহলে দিনটি আপনার জন্য একটু বেশিই বিশেষ। আজ নারীর পক্ষ থেকে পুরুষকে প্রস্তাব পাঠানোর দিন! যদি পছন্দের পুরুষ থেকে থাকে, তাহলে আজই সে কথা জানিয়ে দেওয়ার জন্য উপযুক্ত দিন। কেন জানেন?
আরও পড়ুন:ইতিহাসে আজকের এই দিনে
সারা বিশ্বের সবখানেই কমবেশি ‘লজ্জা নারীর ভূষণ’-এ রকম একটা কথা প্রচলিত। আর তাই হয়ত আমরা পুরুষেরাই সব সময় ভালোবাসার কথা জানাবেন, হাঁটু গেড়ে প্রস্তাব দেবেন, এ বিষয়টা দেখে অভ্যস্ত। পঞ্চম শতাব্দীতে কেউ একজন নারীদের হয়ে রোমানো-ব্রিটিশ পোপ সেন্ট প্যাট্রিককে বলেছিলেন, ওদের তো মনের কথা জানাতে অনেক সময় লেগে যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রিয়জনকে মনের কথা জানাতেই পারেন না। তার আগেই সেই প্রিয়জন ‘অফিশিয়ালি’ অন্য কারও হয়ে যান। বা যেকোনো কারণেই হোক, তারা আলাদা হয়ে যান। এর ফলে নীরবেই তৈরি হয় অনেক বিচ্ছেদের গল্প। কোনো দিন যেগুলো ইতিহাসের পাতায় আর জায়গা পায় না। তখন নারীদের জন্য একটা দিন নির্দিষ্ট করে দেন আয়ারল্যান্ডের সেই ধর্মপ্রচারক সেন্ট প্যাট্রিক। পছন্দের পুরুষকে সেদিন তারা বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবেন। আর সেটা হলো চার বছর পর আসা ফেব্রুয়ারির অতিরিক্ত দিনটি, অর্থাৎ ২৯ ফেব্রুয়ারি।
সেন্ট প্যাট্রিক আরও নিয়ম করেন, যে পুরুষ অধিবর্ষে পাওয়া কোনো নারীর বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেবেন, সরকারি কোষাগারে তাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জরিমানা দিতে হবে। আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্ক থেকে শুরু করে সারা ইউরোপেই এদিন নারীদের পক্ষ থেকে পছন্দের পুরুষকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দেওয়াটা অনেকটা অলিখিত প্রথার মতো চালু হয়ে যায়। এখন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিনটিকে নারীদের পক্ষ থেকে ছেলেদের প্রস্তাব পাঠানোর দিন হিসেবে উদ্যাপন করা হয়ে থাকে। তাহলে আর দেরি না করে আজই মনের মানুষটিকে জানিয়ে দিন তার প্রতি আপনার ভালোবাসার কথা, আর দিনটিকে করে তুলুন স্মরণীয়।
One thought on “আজ নারীর পক্ষ থেকে পুরুষকে প্রস্তাব পাঠানোর দিন”