ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩ রানের পরাজয় দেখেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের টপ-অর্ডারের ব্যর্থতার মাঝে দ্যুতি ছড়িয়েছে মিডল-অর্ডার। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ্ রিয়াদ ও অভিষিক্ত জাকের আলি অনিকের ব্যাটে ভর করে জয়ের স্বপ্ন বুনেছিল লাল-সবুজেরা। তবে শেষ পর্যন্ত লঙ্কানরাই শেষ হাসি হেসেছে। লঙ্কানদের ছুঁড়ে দেওয়া ২০৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২০৩ রানে থেমেছে টাইগাররা। ৬৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ক্রিজে নামেন অভিষিক্ত জাকের। ব্যাট হাতে নেমে রিয়াদের সঙ্গে ২৯ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন তিনি। এই জুটি থেকেই ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা জেগেছিল শান্ত বাহিনীর। তবে রিয়াদ ফিরলে ভেঙে যায় সেই স্বপ্ন।
আরো পড়ুন:দেড় বছর পর শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি দলে বিনুরা
ব্যাট করতে করতে রিয়াদের সঙ্গে জাকেরকে বেশ কয়েকবার কথা বলতেও দেখা গেছে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন সে বিষয়ে জানালেন জাকের। তার (জাকের) ভাষ্য, যখন ব্যাটিংয়ে যাই, ক্রিজে রিয়াদ (ভাই) ছিল। স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে বলেছেন। ওরকমই চেষ্টা করেছি, যেরকম আমি সচরাচর খেলি। বাড়তি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। রিয়াদ (ভাই) ঝুঁকি নিয়ে কিছু বাউন্ডারি বের করলে আমার কাজ সহজ হয়ে যায়। জাকের যোগ করেন, দুজনেরই এরকম পরিকল্পনা ছিল। রিয়াদ (ভাই) চান্স নিচ্ছিল, তখন আমারও পরিকল্পনা ছিল, এক ওভারে কীভাবে ১০ থেকে ১২ রান বের করা যায়। রিয়াদ (ভাই) থাকলেও আমি আমার ভূমিকাটা এরকমই রাখতাম। তিনি চলে যাওয়ার পর আমি গিয়ার শিফট করিনি।
আরো পড়ুন:নিউজিল্যান্ড সফরে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মার্শ
এদিকে ম্যাচ না জিততে পারার আক্ষেপও রয়েছে মিডল-অর্ডার এই ব্যাটারের। তার মন্তব্য, যদি ম্যাচ জিততে পারতাম, তাহলে ১০ বা ১২ রান করলেও বেশি খুশি লাগত। ভালো খেলেছি আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ-তায়ালা যা দিয়েছেন। তবে ম্যাচ জেতাতে পারলে, হয়ত আরও বেশি খুশি হতাম। জাকের যোগ করেন, আমি সবাইকেই বলতাম, আল্লাহ-তায়ালা যখন আমার জাতীয় দলে খেলার সময় লিখে রেখেছেন, আমি তখন এমনিতেই খেলতে পারব; এটাই। আমার সুযোগ এসেছে। মানসিকভাবেও প্রস্তুত ছিলাম। আলিসের যখন ইনজুরি হলো। প্রস্তুতি নিয়ে গিয়েছিলাম। শান্ত আমার সঙ্গে কথা বলেছিল যে তোর কিন্তু যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকিস। আমার সঙ্গে আগেই কথা হয়েছিল। তো আমি প্রস্তুত ছিলাম।