শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন নিজের দেশেই থাকবেন। ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ অনুষ্ঠানে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে একথা বলেন তিনি৷ ক্ষুদ্রঋণ, সামাজিক ব্যবসা, নিজের বিরুদ্ধে চলমান মামলাসহ নানা প্রসঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন প্রফেসর ইউনূস৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস ও সামাজিক ব্যবসা পরিচালনার আমন্ত্রণ থাকলেও তিনি কেন বাংলাদেশে থাকছেন এমন প্রশ্নের জবাবে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূস বলেন, তুমি কি বলছো আমি দেশ থেকে চলে যাই? এমন কুসন্তান হলাম আমি যে আমাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে? আমি এই দেশের সন্তান, এই দেশেই থাকবো৷
আরো পড়ুন:দেশের পথে প্রধানমন্ত্রী
ড. ইউনূস বলেন, আমাকে বলেন আমি সুদখোর, ঘুষখোর৷ আমার মনে হয় উনি মনে করেন, আমি দেশের সর্বোচ্চ ডাকু, সন্ত্রাসী কিংবা আমি অপরাধী, সেরা চোর৷ আমরা ভয়ের মধ্যে আছি৷ আমাদের বিল্ডিংয়ের সামনে দলীয় লোকজন সভা করছে৷ আমরা খুবই সংকটময় অবস্থার মধ্যে আছি৷ কর ফাঁকি দেওয়া প্রসঙ্গে আরও বলেন, আমার টাকা, আমি রোজগার করি, আমি নিজে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি মালিক হবো না৷ যেহেতু আমি মালিক হবো না তাই আমি ট্রাস্টে দিয়ে দিতে চাচ্ছি৷ আমাদের আইনজীবী বলেছেন, আপনি যেহেতু দান করছেন, এটাতে আর কর দেবার কোন বিষয় নেই৷ তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর চাওয়ার পর কর পরিশোধ করেছেন বলে দাবি করেন তিনি৷
আরো পড়ুন:টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের একধাপ উন্নতি
প্রচলিত আইন অনুসারে প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের ৫ শতাংশ কর্মীদের দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, যেখানে মালিক মুনাফা পায় না সেখানে শ্রমিক কিভাবে মুনাফা পাবেন? এই প্রতিষ্ঠানতো মুনাফা তৈরি করে না৷ গণতন্ত্র নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কেউ গণতন্ত্রের বিপক্ষে না, আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে, মানবাধিকারের পক্ষে, ন্যায়-নীতির পক্ষে৷ এগুলো না থাকলে তো জাতি হিসেবে আমরা টিকে থাকবো না৷ তবে মুখ খুলে মানুষ গণতন্ত্রের কথা বলতে পারছে না বলে মনে করেন এই তিনি৷ সামাজিক ব্যবসা ও উদ্যোক্তা হওয়ার বিষয়ে ১২ থেকে ৩৫ বছরের জনগোষ্ঠীকে উৎসাহ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের জন্ম হয়েছে চাকরি করার জন্য না৷ আমরা সবাই উদ্যোক্তা৷
One thought on “আমি এই দেশের সন্তান, এই দেশেই থাকবো : ড. ইউনূস”