নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ৪নং বদলকোট ইউনিয়নের উত্তর বদলকোট গ্রামের মাহবুবুর রহমানের মেয়ে আফরোজা সুলতানা মেঘলা জোড়া লাগানো দু’কন্যা শিশুর জন্ম দিয়ে বিপাকে পড়েছে। ২৬ জানুয়ারি ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে জোড়া লাগানো ২টি জমজ কন্যাশিশুর জন্ম হয়। শিশু দুটির নাম রাখা হয় মাইমুনা ও মরিয়ম।
আরো পড়ুন: বেনাপোলে র্যাবের অভিযানে ২টি পিস্তল আটক ২
মেঘলার মা ফাতেমা আক্তার সাংবাদিককে জানান, ১০ মাস আগে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার শাহানুর ইসলামের সাথে তার মেয়ের বিয়ে হয়। শাহনুর মুন্সিগঞ্জের বাটার চর এলাকায় একটি কাপড় মিলে দিন মজুরের কাজ করে। হতদরিদ্র পরিবারের পক্ষে জোড়া লাগানো শিশু মাইমুনা ও মরিয়মের চিকিৎসা কারানো সম্ভব হচ্ছে না।
জন্মের পর শিশু দুটিকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাক্তাররা তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করতে রেফার করেছে। সোমবার বিকেলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে টাকার অভাবে জোড়া লাগানো শিশুদেরকে ঢাকায় নেয়া যাচ্ছে না। তারা বর্তমানে চাটখিল উপজেলার বদলকোট গ্রামে নানার বাড়িতে রয়েছে।
মাইমুনা ও মরিয়মের পেট ও বুকের অংশ জোড়া লাগানো এবং মাথা ও মুখ আলাদা। খাবার গ্রহণে তাদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। দেশে এর আগেও জোড়া লাগানো জমজ শিশুর জন্ম হয়েছিল। অপারেশনের মাধ্যমে তাদেরকে আলাদা করা সম্ভব হয়েছে। হতদরিদ্র দিন মজুর পিতা শাহানুর ইসলাম ও মাতা আফরোজা সুলতানা মেঘলার আশাবাদী তাদের কন্যাদের চিকিৎসার ব্যাপারে সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসবেন এবং চিকিৎসার ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আবেদন জানান।
আরো পড়ুন: আদমদীঘিতে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার