রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিত্যপণ্য গুদামজাত করে আসন্ন রমজানে বাজারে নিত্যপণ্যের সংকট সৃষ্টির অপচেস্টা করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিগত দুই সপ্তাহ যাবত কয়েকটি অনুসন্ধান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের পর বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর ডেমরার সিরাজ উদ্দিন রোড, ডগাইর বাসের পুলপাড়া, সাধুর মাঠ এবং সারুলিয়া এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব-৩। উল্লেখিত এলাকার আল ফারাবী ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রীজ, বিসমিল্লাহ জেনারেল স্টোর, মক্কা মদিনা রা্ইস এজেন্সী, মা রাইচ এজন্সী ও বাবুল ট্রেডার্সের গুদামে অভিযান চালানো হয়।
আরো পড়ুন:চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
এসময় ওই প্রতিষ্ঠানের গুদাম থেকে ১ লাখ পঁচানব্বই হাজার আটশ কেজি চাল, ৩৩ হাজার ১শ দুই লিটার সয়াবিন তেল, ৪ হাজার ৮’শ কেজি আটা, ৪১ হাজার কেজি ডাল ও ছোলা, ১ হাজার ৫০ কেজি চিনি ও ৪০ হাজার কেজি ময়দা জব্দ করা হয়। পাশাপাশি অবৈধভাবে নিত্যপণ্য মজুদের দায়ে মক্কা মদিনা রাইস এজেন্সীকে ৩ লাখ, মা রাইচ এজেন্সীকে ৫০ হাজার, বিসমিল্লাহ জেনারেল স্টোরকে ৫০ হাজার, আল ফারাবী ফুড বেভারেজ অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রীজকে ৫০ হাজার এবং বাবুল ট্রেডার্সকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট এ জরিমানা করেন। ফলে রমজানে বাজারে নিত্যপণ্যের সংকট সৃষ্টিতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর অপচেস্টা নস্যাৎ হয়ে গেছে।প্রসঙ্গত, আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল করার যে কোনো অপচেষ্টা কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে ২১ জানুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
আরো পড়ুন:আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে মানববন্ধন
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছিলেন, রমজানে প্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। রমজানের পণ্যের কোনও সংকট নেই। কেউ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, যেভাবে প্রাইস লেভেলকে ধরে রাখা যায়, সে কাজগুলোই সরকার করছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই। দরকার হলে কঠোর পদক্ষেপ নেব, শাস্তিমূলক পদক্ষেপের দিকে যাব। কাউকে ছাড় দেব না।