খুলনা মহানগর পুলিশ সব সময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, জঙ্গী, মাদক ব্যবসায়ী, চোর, ডাকাত ও ভূমিদস্যুসহ সকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশী অভিযান পরিচালনা করে আসছে। গত কয়েক মাসে খুলনা মহানগর পুলিশ বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য, বেশ কিছু অস্ত্র এবং এ সংক্রান্তে অপরাধীদের গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০/০২/২০২৪ খ্রিঃ রাত্রে হরিণটানা থানাধীন জয়-বাংলা মোড় সংলগ্ন শিকদার আবাসিক এলাকার জনৈক আবুল কামাল আজাদ সাহেবের বাড়ির ২য় তলার দক্ষিনের ফ্লাটের শয়নকক্ষ হতে স্বর্ণের কানের দুল, স্বর্ণের বালা, স্বর্ণের আংটি, স্বর্ণের চেইন এবং নগদ টাকা চুরি হয়।
এ সংক্রান্তে মোঃ জাহিদ হাসান (৩০), পিতা-মোঃ মন্টু সরদার, সাং- চাঁদখালী বিষ্ণুপুর, থানা-পাইকগাছা, জেলা-খুলনা এ/পি সাং-জয়বাংলা মোড় শিকদার আবাসিক এলাকার জনৈক আবুল কামাল আজাদ সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়া থানা-হরিণটানা জেলা-খুলনা বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে হরিণটানা থানার মামলা নং-১১, তারিখ-২৮/০২/২০২৪ খ্রিঃ, ধারাঃ ৪৫৭/৩৮০ পেনাল কোড রুজু হয়। উক্ত মামলাটি গোয়েন্দা বিভাগ, কেএমপি, খুলনাকে তদন্তের জন্য নির্দেশনা দেওয়া যায়। সেই প্রেক্ষিতে খুলনা মহানগর ডিবি পুলিশের একটি চৌকশ টিম গত ২৯/০২/২০২৪ খ্রিঃ তারিখে খালিশপুর থানা এলাকা হতে ০১) মোঃ শফিকুল ইসলাম(৩০), পিতা-আব্দুল কাদের হাওলাদার, মাতা-সাফিয়া বেগম, সাং-বাস্তুহারা ১৩ নং রোড, থানা-খালিশপুর, মহানগর খুলনা, ০২) মোঃ ইসলাম হোসেন @ ইসমাইল (২৭), পিতা-মোঃ কালাম হোসেন, মাতা-দুলিয়া বেগম, সাং-কাস্টম মোড়, কালিবাড়ি, পুলিশ ফাঁড়ি, ফজলা বস্তি, থানা-খালিশপুর, মহানগর খুলনা এবং ০৩) ইমন হাওলাদার (২৮), পিতা-মোঃ ইউসুফ, মাতা-কাজল বেগম, সাং-আলমনগর (ইনতাজ মিয়ার বাড়ি ভাড়াটিয়া), থানা-খালিশপুর, মহানগর খুলনাদের’কে সূত্রোক্ত মামলায় চুরি যাওয়া ০১ (এক) জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, ০১ (এক) টি স্বর্ণের চেইন, ০১ টি স্বর্ণের বালা, ০১টি স্বর্ণের বালা (কাটা অংশ), ০১টি স্বর্ণের আংটি, ০১ (এক) টি সেলাই রেঞ্জ (যাহা তালা ভাঙ্গার কাজে ব্যবহৃত) এবং নগদ ৮,০০০/- (আট হাজার) টাকা সহ গ্রেফতার করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় গ্রেফতারকৃত উক্ত চোর চক্রটি খুলনা শহরে বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে বাসা-বাড়িতে চুরি করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত ০২ নাম্বার আসামি মোঃ ইসলাম হোসেন @ ইসমাইল (২৭) এর বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে ০১ টি চুরির মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত ০৩ নাম্বার আসামি ইমন হাওলাদার (২৮) এর বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে ০৫ চুরির মামলা ও ০২ টি মাদকের মামলা সহ মোট ০৭ টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত ০১ নাম্বার আসামি মোঃ শফিকুল ইসলাম (৩০) চুরির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেছেন।