Dhaka ০৫:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অ্যান্টার্কটিকার মালিকানা দাবি ইরানের

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০১:১৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৭১ Time View

অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে নিজেদের মালিকানা দাবি করেছে ইরান। দেশটির নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহরাম ইরানি সম্প্রতি এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, অ্যান্টার্কটিকার মালিক ইরান সরকার এবং সেখানে সামরিক স্থাপনা তৈরির পরিকল্পনা আছে তাদের। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ প্রচারিত সেই সাক্ষৎকারে ইরানের নৌবাহিনীর এই কমান্ডার বলেন, ‘দক্ষিণ মেরুতে আমাদের সম্পত্তির অধিকার আছে। সেখানে আমাদের পতাকা উত্তোলন এবং সামরিক ও বৈজ্ঞানিক কাজ করার পরিকল্পনা করছি।’

আরো পড়ুন:নতুন পরমাণুচুল্লি তৈরির ঘোষণা ইরানের

সাক্ষাৎকারটি গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে দিয়েছিলেন শাহরাম ইরানি। ইরানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলেও সেটি প্রচারিত হয়েছিল। তবে সেসময় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর নজর এড়িয়ে গিয়েছিল সাক্ষাৎকারটি।
সম্প্রতি ফক্স নিউজে সেটি প্রচারিত হয়েছে। তারপর থেকেই এ নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে পশ্চিমা রাজনীতি ও সংবাদমাধ্যমগুলোতে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে জর্ডানে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হন। এরপর ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থিত ইরান সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যবস্তুগুলোতে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডারের এই দাবি নতুন করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

আরো পড়ুন:আজ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

এদিকে কাতারে রাখা ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ৬০০ কোটি ডলার বাজেয়াপ্তের আদেশ সম্প্রতি তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের দাবির সঙ্গে এই সিদ্ধান্তের সংযোগ নিয়েও ভাবছেন অনেকে। এ প্রসঙ্গ তুলে ফক্স নিউজ ডিজিটাল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্রের কাছে জানতে চান, অ্যান্টার্কটিকায় সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে সেই অর্থ ব্যয় করতে পারবে কি না ইরান। জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই মুখপাত্র বলেছেন, সেরকম কোনও সুযোগ নেই। কাতারে রাখা ইরানের তহবিল অ্যান্টার্কটিকায় কোনও কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কারণ এই তহবিলের অর্থ শুধুমাত্র খাদ্য, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং কৃষি পণ্যের মতো মানবিক ও জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন খাতে ব্যয় করা হবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

অ্যান্টার্কটিকার মালিকানা দাবি ইরানের

Update Time : ০১:১৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে নিজেদের মালিকানা দাবি করেছে ইরান। দেশটির নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহরাম ইরানি সম্প্রতি এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, অ্যান্টার্কটিকার মালিক ইরান সরকার এবং সেখানে সামরিক স্থাপনা তৈরির পরিকল্পনা আছে তাদের। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ প্রচারিত সেই সাক্ষৎকারে ইরানের নৌবাহিনীর এই কমান্ডার বলেন, ‘দক্ষিণ মেরুতে আমাদের সম্পত্তির অধিকার আছে। সেখানে আমাদের পতাকা উত্তোলন এবং সামরিক ও বৈজ্ঞানিক কাজ করার পরিকল্পনা করছি।’

আরো পড়ুন:নতুন পরমাণুচুল্লি তৈরির ঘোষণা ইরানের

সাক্ষাৎকারটি গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে দিয়েছিলেন শাহরাম ইরানি। ইরানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলেও সেটি প্রচারিত হয়েছিল। তবে সেসময় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর নজর এড়িয়ে গিয়েছিল সাক্ষাৎকারটি।
সম্প্রতি ফক্স নিউজে সেটি প্রচারিত হয়েছে। তারপর থেকেই এ নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে পশ্চিমা রাজনীতি ও সংবাদমাধ্যমগুলোতে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে জর্ডানে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হন। এরপর ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থিত ইরান সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যবস্তুগুলোতে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডারের এই দাবি নতুন করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

আরো পড়ুন:আজ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

এদিকে কাতারে রাখা ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ৬০০ কোটি ডলার বাজেয়াপ্তের আদেশ সম্প্রতি তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের দাবির সঙ্গে এই সিদ্ধান্তের সংযোগ নিয়েও ভাবছেন অনেকে। এ প্রসঙ্গ তুলে ফক্স নিউজ ডিজিটাল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্রের কাছে জানতে চান, অ্যান্টার্কটিকায় সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে সেই অর্থ ব্যয় করতে পারবে কি না ইরান। জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই মুখপাত্র বলেছেন, সেরকম কোনও সুযোগ নেই। কাতারে রাখা ইরানের তহবিল অ্যান্টার্কটিকায় কোনও কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কারণ এই তহবিলের অর্থ শুধুমাত্র খাদ্য, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং কৃষি পণ্যের মতো মানবিক ও জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন খাতে ব্যয় করা হবে।