Dhaka ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলাপাড়ায় খাস জমি বন্দোবস্ত কাণ্ডে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মুজিব শতবর্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে দুস্থদের জন্য ঘর সহ ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্তের আড়ালে ৪২ প্রভাবশালী বিত্তবানের নামে ২৫ কোটি টাকা মূল্যের ৭২ একর খাস জমি বন্দোবস্ত কাণ্ডের মামলায় অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করেছে দুদক। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পটুয়াখালীর উপ-পরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরী ও উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল লতিফ হাওলাদার ইতোমধ্যে অভিযুক্ত কলাপাড়ার সাবেক ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক, ভূমি অফিস সার্ভেয়ার মো: হুমায়ুন কবির, সাব রেজিস্টার রেহেনা পারভিন সহ সাব রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করেছে। ৩রা, ৪ঠা মার্চ ৪২ প্রভাবশালী খাস জমি দলিল গ্রহীতাদের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করবে দুদক। এরপর অভিযুক্তদের প্রকাশ্য আদালতে বিচারের জন্য শীঘ্রই আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করবে দুদক। এর আগে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পটুয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো: জাভেদ হাবিব বাদী হয়ে সার্ভেয়ার মো: হুমায়ুন কবিরকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাতানামা আসামীদের নামে ১৬ আগস্ট বিকেলে দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দায়ের করেন।
সূত্র জানায়, পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আলোচিত ৭২ একর খাস জমি বন্দোবস্ত কাণ্ডে ইউএনও আবু হাসনাত, সাব রেজিস্টার রেহেনা পারভিন, সার্ভেয়ার মো: হুমায়ুন কবির তাদের নির্দোষিতার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। মুজিব শতবর্ষের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে দুস্থদের জন্য ঘর সহ ২ শতাংশ খাস জমি বরাদ্দে সরকারের মহতী উদ্যোগ বাসÍবায়নের অন্তরালে বিপুল অর্থের বিনিময়ে ৪২ প্রভাবশালী বিত্তবানের নামে ২৫ কোটি টাকা মূল্যের ৭২ একর খাস জমি বন্দোবস্ত দেয় অভিযুক্তরা।
সূত্রটি আরও জানায়, আলোচিত ৭২ একর খাস জমি বন্দোবস্ত কাণ্ডের তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। ৪২ প্রভাবশালী খাসজমি বন্দোবস্ত দলিল গ্রহীতাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে মামলাটিতে গতি আসবে। এরপর অভিযোগ পত্র নিয়ে আদালতে শুনানী, অভিযোগ গঠন, স্বাক্ষ্য গ্রহণ, জেরা, যুক্তি তর্ক এবং রায় প্রচার। তবে এ ঘটনা থেকে পার পেয়ে যেতে অভিযুক্ত ইউএনও, সাব রেজিস্টার, ভূমি অফিস সার্ভেয়ার সহ সংশ্লিষ্টরা জোরে শোরে লবিং, তদবির শুরু করেছেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ

ফিরতে ইচ্ছুক লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের নথিভুক্ত হতে হবে

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

কলাপাড়ায় খাস জমি বন্দোবস্ত কাণ্ডে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ

Update Time : ০৮:০৯:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মুজিব শতবর্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে দুস্থদের জন্য ঘর সহ ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্তের আড়ালে ৪২ প্রভাবশালী বিত্তবানের নামে ২৫ কোটি টাকা মূল্যের ৭২ একর খাস জমি বন্দোবস্ত কাণ্ডের মামলায় অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করেছে দুদক। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পটুয়াখালীর উপ-পরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরী ও উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল লতিফ হাওলাদার ইতোমধ্যে অভিযুক্ত কলাপাড়ার সাবেক ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক, ভূমি অফিস সার্ভেয়ার মো: হুমায়ুন কবির, সাব রেজিস্টার রেহেনা পারভিন সহ সাব রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করেছে। ৩রা, ৪ঠা মার্চ ৪২ প্রভাবশালী খাস জমি দলিল গ্রহীতাদের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করবে দুদক। এরপর অভিযুক্তদের প্রকাশ্য আদালতে বিচারের জন্য শীঘ্রই আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করবে দুদক। এর আগে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পটুয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো: জাভেদ হাবিব বাদী হয়ে সার্ভেয়ার মো: হুমায়ুন কবিরকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাতানামা আসামীদের নামে ১৬ আগস্ট বিকেলে দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দায়ের করেন।
আরো পড়ুন:কুয়াকাটায় স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সূত্র জানায়, পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আলোচিত ৭২ একর খাস জমি বন্দোবস্ত কাণ্ডে ইউএনও আবু হাসনাত, সাব রেজিস্টার রেহেনা পারভিন, সার্ভেয়ার মো: হুমায়ুন কবির তাদের নির্দোষিতার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। মুজিব শতবর্ষের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে দুস্থদের জন্য ঘর সহ ২ শতাংশ খাস জমি বরাদ্দে সরকারের মহতী উদ্যোগ বাসÍবায়নের অন্তরালে বিপুল অর্থের বিনিময়ে ৪২ প্রভাবশালী বিত্তবানের নামে ২৫ কোটি টাকা মূল্যের ৭২ একর খাস জমি বন্দোবস্ত দেয় অভিযুক্তরা।
আরো পড়ুন:কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল
সূত্রটি আরও জানায়, আলোচিত ৭২ একর খাস জমি বন্দোবস্ত কাণ্ডের তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। ৪২ প্রভাবশালী খাসজমি বন্দোবস্ত দলিল গ্রহীতাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে মামলাটিতে গতি আসবে। এরপর অভিযোগ পত্র নিয়ে আদালতে শুনানী, অভিযোগ গঠন, স্বাক্ষ্য গ্রহণ, জেরা, যুক্তি তর্ক এবং রায় প্রচার। তবে এ ঘটনা থেকে পার পেয়ে যেতে অভিযুক্ত ইউএনও, সাব রেজিস্টার, ভূমি অফিস সার্ভেয়ার সহ সংশ্লিষ্টরা জোরে শোরে লবিং, তদবির শুরু করেছেন।