ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভদ্রডাঙ্গা গ্রামে ছেলের বটির আঘাতে আহত মা পায়রা খাতুনের (৬১) মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। নিহত পায়রা খাতুন ওই গ্রামের জের আলী মন্ডলের স্ত্রী। এ ঘটনায় ছেলে হাসেম আলী পলাতক রয়েছেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসেম আলীর ছেলে নাজমুলকে আটক করেছে। শৈলকুপার রামচন্দ্রপুর পুলিশ ফাড়ির এসআই নাজিম উদ্দীন জানান, শবে বরাতেন দিন (২৬ ফেব্রয়ারি) স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হন ছেলে হাসেম আলী। ঝগড়া থামাতে মা পায়রা খাতুন এগিয়ে আসেন। এ সময় হাসেম তার স্ত্রীকে লক্ষ্য করে ঘাসকাটা বটি ছুড়ে মারেন। বটির আঘাতে স্ত্রীর পরিবর্তে মা ক্ষত বিক্ষত হন। আঘাত জনিত কারণে পায়রা খাতুনের মৃত্যু হতে পারে। তিনি আরো জানান, প্রকৃত কারণ জানতে হাসেম আলীর ছেলে নাজমুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
স্থানীয় ত্রিবেনী ইউনিয়নের মেম্বর আব্দুল লতিফ বৃহস্পতিবার দুপুরে জানান, পায়রা খাতুনের আঘাতের পরও তাকে ঠিকমতো চিকিৎসা প্রদান করা হয়নি। ফলে ডায়াবেটিক রোগ থাকায় স্বাস্থ্যে অবনতি ঘটে এবং আহত হওয়ার তিনদিন পর বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি আরো বলেন, পায়রা খাতুনের বাম পা, হাটু, থোড়া ও বুকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ত্রিবেনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মোল্লা জানান, বিষয়টি আমি লোকমুখে শুনে পুলিশকে জানিয়েছি।
শৈলকুপা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, পায়রা খাতুনের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, আঘাত জনিত কারণে মৃত্যু হলে ছেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
One thought on “ঝিনাইদহে ছেলের বটির আঘাতে মায়ের মৃত্যু”