অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ডিসএবিলিটি রাইটস ফান্ডের আর্থিক সহযোগিতায় গত ০৯ ফেব্রুয়ারী কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল গ্রান্ড সাফা ইনে’র হলরুমে জাতীয় বাজেট ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বাজেট প্রত্যাশা শীর্ষক বাজেট পূর্ববর্তী বিভাগীয় প্রাক বাজেট আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভাগীয় প্রাক বাজেট আলোচনা সভাটির যৌথ সহ-আয়োজক হিসেবে বরিশাল বিভাগের আরো দশটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা যুক্ত ছিল। সংস্থাগুলো হল বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা,বানারীপাড়া প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ,কানুসকাঠী প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা,প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা,রুরাল ইনহ্যান্সমেন্ট অর্গানাইজেশন( রিও), গোলাপ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা,উদয়ন প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা,বরগুনা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা ও এসএসডিপি।
অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আলবার্ট মোল্লা শুরুতেই সংগঠনের কার্যক্রম সবার সামনে তুলে ধরেন। আয়োজিত সভাটি মূলত তৃনমুল পর্যায়ের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বাজেট প্রত্যাশাগুলো তুলে এনে যা পরবর্তীতে জাতিয় পর্যায়ে বাজেট পূর্ববর্তী আলোচনা উপস্থাপনা করা হয়। অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ২০১৪ সাল থেকে প্রত্যেক বছর প্রাক বাজেট আলোচনা সভা আয়োজন করে থাকে। তারিই ধারাবাহিকতায় আয়োজন করা হয়েছে আজকের এ সভাটি। অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের ইনকুলুশন লীড তাসলিমা জাহান প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অবস্থান সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অর্ন্তভুক্তি মূলক বাজেট প্রনয়ন করতে কিছু সুপারিশ তুলে ধরে প্রবন্ধ তুলে ধরেন।
পরবর্তীতে আলবার্ট মোল্লা প্রতিবন্ধীদের বর্তমান অবস্থা এর উন্নয়নে করনীয় সরকারের কাছে ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে সুনির্দিষ্ট দাবী কি হতে পারে তার উপর অংশগ্রহণকারীদের মতামত গ্রহন করেন। সভায় বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. বদিউল আলম বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শনাক্ত করন খুবই জটিল বিষয়। উপজেলা পর্যায়ে বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধী শনাক্ত করার যন্ত্রপাতি নেই।
এসএসডিপির নির্বাহী পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও আইনের সুরক্ষা নেই। সদা সর্বদা নির্যাতনের শিকার হয়। রুরাল ইনহ্যান্সমেন্ট অর্গানাইজেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান বলেন, জিটুপি ভাতা প্রদান হলে অনেকটা ভোগান্তি কমে আসবে।