Dhaka ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাভারে গোলাপ বাগানে খরা

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে সাভারের ‘গোলাপ গ্রাম’ হিসেবে পরিচিত বিরুলিয়ার শ্যামপুর এলাকার গোলাপ বাগানের ছবি তুলতে গেলে স্থানীয় কৃষক আবুল হোসেন এভাবেই কথা বলেন।হতাশা নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘দিনে দিনে সাভারে ফুল চাষ কমছে। ভালো ফলন না পেয়ে অনেক কৃষকই এখন গোলাপ চাষ ছেড়ে অন্য পেশার দিকে ঝুঁকছেন।’ সরেজমিন দেখা যায়, বিরুলিয়া ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে গোলাপের বাগান। বাতাসে দুলছে গোলাপ। তবে কৃষকরা বলছেন, বিগত বছরের তুলনায় এবার উৎপাদন কম। ছত্রাকের আক্রমণে বেশিরভাগ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গাছের পাতা, ডাল, কুঁড়ি পচে যাচ্ছে। কীটনাশক বা ছত্রাকনাশক স্প্রে করেও মিলছে না প্রতিকার। তার সঙ্গে অতি শীতে নষ্ট হচ্ছে ফুল।

ফুলচাষি আব্দুল জলিল জানান, লক্ষ্যমাত্রার তিন ভাগের এক ভাগ ফুলও তিনি তুলতে পারেননি। কুঁড়ি থেকে ফুল ফোটার আগেই সব পচে যাচ্ছে। স্বাভাবিক উৎপাদন হয়নি। বাগানে গোলাপের খরা।উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, বিরুলিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ৩০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল চাষ হয়। এর মধ্যে ২৩০ হেক্টর জমিতে চাষ হয় বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ। এবছর বিরুলিয়ায় গোলাপ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮-১০ কোটি টাকার। অন্যান্য বছর ছিল ২০ থেকে ৪০ কোটি পর্যন্ত।

বাগানে ফুলের খরায় প্রভাব পড়েছে বাজারে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এসব ফুল। নবীনগর ফুল মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, প্রকারভেদে প্রতিপিস গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকায়। যা আগের বছর ছিল ২০-৩০ টাকা।

 

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

সাভারে গোলাপ বাগানে খরা

Update Time : ০৫:৩৩:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে সাভারের ‘গোলাপ গ্রাম’ হিসেবে পরিচিত বিরুলিয়ার শ্যামপুর এলাকার গোলাপ বাগানের ছবি তুলতে গেলে স্থানীয় কৃষক আবুল হোসেন এভাবেই কথা বলেন।হতাশা নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘দিনে দিনে সাভারে ফুল চাষ কমছে। ভালো ফলন না পেয়ে অনেক কৃষকই এখন গোলাপ চাষ ছেড়ে অন্য পেশার দিকে ঝুঁকছেন।’ সরেজমিন দেখা যায়, বিরুলিয়া ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে গোলাপের বাগান। বাতাসে দুলছে গোলাপ। তবে কৃষকরা বলছেন, বিগত বছরের তুলনায় এবার উৎপাদন কম। ছত্রাকের আক্রমণে বেশিরভাগ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গাছের পাতা, ডাল, কুঁড়ি পচে যাচ্ছে। কীটনাশক বা ছত্রাকনাশক স্প্রে করেও মিলছে না প্রতিকার। তার সঙ্গে অতি শীতে নষ্ট হচ্ছে ফুল।

ফুলচাষি আব্দুল জলিল জানান, লক্ষ্যমাত্রার তিন ভাগের এক ভাগ ফুলও তিনি তুলতে পারেননি। কুঁড়ি থেকে ফুল ফোটার আগেই সব পচে যাচ্ছে। স্বাভাবিক উৎপাদন হয়নি। বাগানে গোলাপের খরা।উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, বিরুলিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ৩০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল চাষ হয়। এর মধ্যে ২৩০ হেক্টর জমিতে চাষ হয় বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ। এবছর বিরুলিয়ায় গোলাপ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮-১০ কোটি টাকার। অন্যান্য বছর ছিল ২০ থেকে ৪০ কোটি পর্যন্ত।

বাগানে ফুলের খরায় প্রভাব পড়েছে বাজারে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এসব ফুল। নবীনগর ফুল মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, প্রকারভেদে প্রতিপিস গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকায়। যা আগের বছর ছিল ২০-৩০ টাকা।