ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী থেকে নারী ব্যবসায়ী জনি এখন স্পা ব্যবসায়ী। জানা গেছে, এক সময় রাজধানীর বিভিন্ন মহলে ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে নারী ও মাদক বাণিজ্য চালিয়ে আসতেন বনানীর স্পা ব্যবসায়ী জনি। তিনি বনানীর ২ নং রোডে ২৬ নং বাড়িটির ২য় তলায় দির্ঘদীন যাবত সুন্দরী নারী ও মাদক কারবারীদের সাথে আতাত করে প্রকাশ্যে পুলিশের নাকের ডগায় যৌন বাণিজ্য চালিয়ে আসছে এমটাই অভিযোগ। যৌন বাণিজ্যর দ্বায়ে তিনি কয়েকবার জেলও খাটেন এবং এখনো মানব পাচারসহ একাধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় তার একটি নারী সিন্ডিকেট দালাল চক্রের মাধ্যমে গ্রাম—গঞ্জ থেকে সুন্দরী নারীদের উচ্চ বেতনে চাকুরী দেওয়ার নাম করে তার উক্ত ঠিকানায় নিয়ে এসে তাদেরকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করেন এই জনি। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকলেও প্রশাসনকে টুপি পরিয়ে তার অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। তবে ফয়সাল আহম্মেদ জনি বলেন, ভাই আপনারা সংবাদ করলে কিছু আসে যায়না। আমি বনানী থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই ব্যবসা করি। প্রয়োজনে বর্তমান থানার ওসিকে আমার কথা বইলেন। তাছাড়া আমি প্রতিমাসে তাদেরকে মাসোহারা দিয়ে থাকি এবং সেই মাসোহারা সকলেই ভাগাভাগি করে নেয়। এনিয়ে বেশি বারাবারি করলে পরিনাম ভাল হবেনা। এভাবেই অসাধু ব্যবসায়ীরা পুলিশের মান ক্ষুন্ন করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি আরো বলেন ভাই আমার এখানে কোন ষ্টাফ (দালাল) নেই, সব ষ্টাফ (দালাল) গুলশানে চলে গেছে। আমি এখানে একাই ব্যবসা করি। তাছাড়া আরো জনবল রেডি করছি হয়তো সামনের দিকে আমার ব্যবসা আরো ভালো হবে। এখন পর্যন্ত থানার মাসোহারা দিতে পারি নাই।
আরো পড়ুন: গুলশান এখন স্পার নামে মিনি পতিতালয়ে পরিনত
স্থানীয়দের অভিযোগ স্পার আড়ালে দেহব্যবসার প্রবণতা ক্রমাগত ভাবে বেড়ে চলেছে । তাঁরা বলছেন প্রতিনিয়ত এসব প্রতিষ্ঠানে অসামাজিক কার্যকলাপ ঘটলেও নির্মূলে পুলিশের নজরদারি একেবারে নেই বললেই চলে। গত কয়েক মাস ধরে এতোটাই উন্মুক্ত ভাবে এসব ব্যবসা নামক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অশ্লীল কার্যক্রম চলছে তা বলার মতো নয়। এসব ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ইঙ্গিত দিয়ে যে ভাবে তাদের প্র্রচারণা করছে তাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করা অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।এই সমস্ত কার্যকলাপ পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নির্মূলকারী সংস্থার কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন লাভ হচ্ছে না। যেহেতু আমরা এখানকার বাসিন্দা নিরাপত্তা জনিত কারণে নিজেরা সরাসরি অভিযোগ না করলেও বিভিন্ন ভাবে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রতিকারের লক্ষে অভিযোগ করানো হয় কিন্তু কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
এবিষয়ে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আরো পড়ুন: রমজানের আগে ভারতকে দেড় লাখ টন পেঁয়াজ-চিনি পাঠানোর অনুরোধ
2 thoughts on “বনানীতে ফ্ল্যাট ব্যবসায়ী জনি এখন স্পা ব্যবসায়ী ”